অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে আমেরিকার ছক কষছেন হাথুরুসিংহে

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আসন্ন জুন-জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানকার উইকেট কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। তবে উইকেটগুলো যেহেতু অস্ট্রেলিয়াতে তৈরি করা হবে, তাই দেশটির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপ পরিকল্পনা করছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। যেখানে আসন্ন বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কা ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ডালাস ও নিউ ইয়র্কে দুটি গুরুত্বপূর্ন ম্যাচ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু সেই উইকেগুলোর কোনো পরিসংখ্যানও জানা নেই কারো। তবে অ্যাডিলেডে যেহেতু এই উইকেট তৈরি করা হবে। তাই হাথুরুসিংহে আশা করছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেট যেমন হয়, তেমনই হতে পারে।

বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা ভালো উইকেটে খেলতে চাই। আমি জানি না আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কেমন উইকেট পাব। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ আছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। কারও কোনো ধারণা নেই, সেখানে উইকেট কেমন হবে। সেখানকার কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমি জেনেছি, সেখানে ড্রপ ইন উইকেট থাকবে। অ্যাডিলেডে প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হবে। তাই আশা করছি, অস্ট্রেলীয় উইকেট যেমন হয়, তেমনই হবে।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়া অনেকটা নিজের ঘরের মতই হাথুরুসিংহের কাছে। ছুটি পেলেই সেখানে সময় কাটাতে যান টাইগার কোচ। ফলে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে বেশ ভালো ধারণাই আছে তার। এ ছাড়া দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের দল ওয়াশিংটন ফ্রিডমের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন হাথুরুসিংহে। আর এই যোগ সূত্রটাই বেশি সহায়তা করছে তাকে।
মূলত গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মত আয়োজিত হয়েছিল মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি)। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার মালিকানাধীন দুটি দল খেলেছিল। যার মধ্যে একটি দল ছিলো নিউ সাউথ ওয়েলসের দল ওয়াশিংটন ফ্রিডম। ফলে দলটির সঙ্গে যোগাযোগ করে ডালাস ও নিউ ইয়র্কের উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
হাথুরুসিংহে জানান, ‘ডালাস, সেখানে কেমন হতে পারে, তা নিয়ে কিছুটা ধারণা পেয়েছি নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে। কারণ, সেখানে তাদের দ্য ওয়াশিংটন ফ্রিডম দলটা মেজর লিগে খেলে। আমি যখন অস্ট্রেলিয়া ছিলাম, তখন ওদের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এসব অচেনা চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি যতটা সম্ভব। এরপর আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টেও খেলা আছে। যতটা মনে পড়ে সেখানে আমরা টেস্ট খেলেছিলাম। আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি।’