‘মুল্ডারময়’ দিনে চূড়ায় প্রোটিয়ারা, ইনিংস হারের পথে জিম্বাবুয়ে

ছবি: ৩৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন উইয়ান মুল্ডার, ফাইল ফটো

ফলে ম্যাচ এখন একপ্রকার একতরফা হয়ে গেছে। প্রোটিয়ারা ইনিংস ঘোষণা করে পাঁচ উইকেটে ৬২৬ রানে, ওভারপ্রতি রান তোলার হার ছিল ৫.৪৯। ৩৩৪ বলে ৩৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মুল্ডার, ইনিংসে ছিল ৪৯টি চার ও ৪টি ছক্কার মার। দ্বিতীয় দিনে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি।
আমি চেয়েছি রেকর্ডটা লারার নামেই থাকুক: মুল্ডার
১৫ ঘন্টা আগে
মুল্ডারের ট্রিপল সেঞ্চুরি এসেছে মাত্র ২৯৭ বলে, যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। তার আগে আছেন কেবল বীরেন্দর শেবাগ (২৭৮ বলে)। এই ইনিংসে সাউথ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড ছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট অভিষেকে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার অনন্য কীর্তি গড়েছেন তিনি।
ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের বিশ্বরেকর্ড থেকে মাত্র ৩৩ রান দূরে থাকলেও, মুল্ডার লাঞ্চে ফিরে আর ব্যাটিংয়ে নামেননি। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তে ক্রিকেট মহলে বিস্ময় তৈরি হয়, বিশেষ করে ম্যাচ তখনও দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন হওয়াতে এ নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

যদিও দিনের খেলা শেষে মুল্ডার জানান, লারার প্রতি সম্মান জানাতেই ওই রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করেননি তিনি।
কিউইদের জিম্বাবুয়ে সফরে নেই উইলিয়ামসন
১ ঘন্টা আগে
তার সঙ্গে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন উইকেটরক্ষক কাইল ভেরাইনি।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তাকুওয়ানাশে কাইতানো উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। দ্বিতীয় ওভারে ডিওন মায়ার্সও (১) একইভাবে বিদায় নেন। ইউসুফের দ্বিতীয় শিকার হন নিক ওয়েলচ। ১০ রান করা এই ব্যাটার মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
৩০ বলে ১৭ রান করা ক্রেইগ আরভাইনকে ফেরান মুল্ডার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন আরভাইন। দলীয় পঞ্চাশ পার হতে ফিরে যান ওয়েসলি মাধেভেরে। তাকে বোল্ড করেন মুল্ডার। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৩ ওভারে ১৭০ রানে অল আউট হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
স্কোরবোর্ডে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন শন উইলিয়ামস। তিনি ৫৫ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাউথ আফ্রিকার হয়ে চারটি উইকেট নেন অভিষিক্ত অফস্পিনার প্রেনেলান সুব্রায়েন। দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন মুল্ডার ও কোডি ইউসুফ। ফলো-অন করিয়ে আবার জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা।