অর্থ ও ভেন্যু সংকটে অস্ট্রেলিয়া-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শঙ্কায়

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চলতি বছরটা ব্যস্ততার মধ্যেই কাটবে আয়ারল্যান্ডের। আইসিসির ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী এই বছর অস্ট্রেলিয়াসহ আরো তিনটি দলকে ঘরের মাঠে অতিথেয়তা দেয়ার কথা তাদের। কিন্তু করোনার পরে দেশটির হোটেল ভাড়া সহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। এতগুলো সিরিজ আয়োজনে প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে তাদের। তাই অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি স্থগিত করার চিন্তা করছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
একদিকে আইসিসির ২০২৪–২৭ নতুন চক্রে ভারত, ইংল্যান্ডের মত বড় দলগুলো ছাড়া বাকি দলগুলোর লভ্যাংশের শতাংশ অনেকটাই কমেছে। অন্যদিকে করোনার পর প্রায় সকল দেশেই বেড়েছে আর্থিক খরচ। ফলে চলতি বছর ঘরের মাঠে বেশ কয়েকটি সিরিজ থাকায় বেশ চাপে পরেছে আয়ারল্যান্ড। রয়েছে ভেন্যু নিয়েও জটিলতাও। এমনটাই জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের হাই-পারফরম্যান্স ডিরেক্টর রিচার্ড হোল্ডসওয়ার্থ।

ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তিনি বলেন, 'এফটিপি অনুযায়ী আমাদের যেই সূচি রয়েছে... সেটা ঠিক রাখা আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের। আমরা যতগুলো ভেন্যু পেয়েছি সেই তুলনায় আমাদের ম্যাচ অনেক বেশি। এদিকে কোভিডের পর থেকেই আয়ারল্যান্ডে ম্যাচ আয়োজনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। হোটেলের দাম, মাঠের জন্য অস্থায়ী অবকাঠামো স্থাপন করার খরচও অনেক বেড়েছে।'
আসন্ন মে মাসেই পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অতিথেয়তা দিবে আইরিশরা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে দেশটিতে সফর করবে সাউথ আফ্রিকা। এরপরই একটি টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আয়ারল্যান্ড আসবে জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে নেদারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করার কথা তাদের।
এরপর সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ড সফর করার কথা অজিদের। খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি। শুধু তাই নয় ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডস নারী ক্রিকেটে দলেরও আয়ারল্যান্ড সফর করার কথা এই সময়ে। এতো ম্যাচের মধ্যে অর্থের পাশাপাশি ভেন্যু জটিলতাও রয়েছে।
যদিও এর আগেও ভেন্যু সমস্যায় আইরিশরা ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ড এবং ব্রিস্টলে ম্যাচ আয়োজন করেছে। কিন্তু এবার তারা এই সমাধানও পাচ্ছে না। কারণ একই সময় ইংল্যান্ডেও বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে। কিন্তু ইংলিশদের ব্যস্ত সূচির মধ্যে কাউন্টির মত ছোটো মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে চায় না তার। তবে এরপরও তারা এফটিপি নিয়ে কাজ করবে।
হোল্ডসওয়ার্থ বলেন, 'একই সময়ে ইংল্যান্ডের ব্যস্ত সূচি থাকবে। আর আমরা অবশ্যই কাউন্টির মত ছোট মাঠে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার কথা বিবেচনা করব না। তবে আমরা এখনও এই গ্রীষ্মে (অস্ট্রেলিয়া) অতিথেয়তা দিতে পারি কিনা, কিংবা এফটিপির অন্য কোনো সময়ে খেলতে পারি কিনা সেই বিষয়ে বিকল্পগুলো দেখছি।'