শেষটা জয় দিয়েই করল সিলেট

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের জয়। ফলে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় শুধু মাত্র নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তারপরও শেষটা ইতিবাচক করতেই মাঠে নেমেছিল দু'দল। কিন্তু নিয়ম রক্ষার এই ম্যাচে সিলেটের কাছে পাত্তাই পেল না খুলনা। ৬ উইকেটের জয়ে বিপিএল শেষ করল সিলেট।
এদিন টসে জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় সিলেট। ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে খুলনা। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শফিকুল ইসলামের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন খুলনা দলপতি। এরপর তিনে নামা হাবিবুর রহমান সোহানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ।
দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তোলে খুলনা। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর পরই সাজঘরে ফেরেন সোহান। ব্যক্তিগত ৩ রানে বেনি হাওয়েলকে উইকেট ছুঁড়ে দেন সোহান। সঙ্গী হারালেও রানের চাকা সচল রাখেন আফিফ। তবে মাহমুদুল হাসান জয় তাকে বেশীক্ষন সঙ্গ দিতে পারেননি। ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন জয়।
অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া আফিফও মাইলফলকে পৌঁছে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৫২ রানে সামিত প্যাটেলকে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি। এরপর জেসন হোল্ডারও ফেরেন দ্রুত। ভালো শুরু পাওয়ার পরও খুলনার ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার এই মিছিলে খেই হারিয়ে বসে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
নীচের দিকে ওয়েন পারলেন লড়াই চালিয়ে গেলেও তাকে বেশিক্ষণ কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। দলীয় ১১১ রানে পারলেন ফিরে গেলে আরও বিপদে পড়ে খুলনা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের পুঁজি পায় দলটি। ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন হাওয়েল।
১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট শুরুতেই জাকির হাসানকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায়। খানিক পর পারলেন বিদায় করেন আরেক ওপেনার কেনার লুইসকেও। তবে পাওয়ার প্লে'তে জোড়া ধাক্কা খেলেও ইয়াসির আলি ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ম্যাচে ফেরে সিলেট।
তাদের ব্যাটে লড়াই চালিয়ে ১০ ওভারে সিলেট স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৬৬ রান। শান্ত হাঁটতে থাকেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার আরিফকে কাট করতে গিয়ে ৩৭ বলে ৩৯ রান করে বোল্ড হন তিনি। শান্ত ফিরলেও অধিনায়ক মিঠুন ও ইয়াসির মিলে দলকে ১০০'র ঘরে নিয়ে যান।
হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন ইয়াসির নিজেও। কিন্তু মাইলফলকের কাছে যেতেই এই ব্যাটারও উইকেট ছুঁড়ে দেন। ৪৬ রানে হোল্ডারকে পুল করতে গিয়ে নাহিদুলের তালুবন্দি হন এই ব্যাটার। এরপর হাওয়েলকে নিয়ে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট।