নির্বাচকের দায়িত্ব নিতে অবসরে আসাদ শফিক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান সফরে যেতে সরকারের ‘মৌখিক অনুমতি’ পেয়ে চিঠির অপেক্ষায় বিসিবি
৩ ঘন্টা আগে
পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে অ্যাবোটাবাদকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে করাচি হোয়াইটস। এর পরই সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন শিরোপা জয়ী অধিনায়ক আসাদ শফিক।
কদিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করা হয়েছিল সালমান বাটকে। যদিও সমালোচনার মুখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে সরিয়ে নিয়েছে পিসিবি। তখনই নির্বাচক প্যানেলের নতুন সদস্য হিসেবে শফিকের নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ।

অবসরের ঘোষণা দিয়ে শফিক বলেছেন, ‘ক্রিকেট খেলতে আর আগের মতো টান এবং রোমাঞ্চ অনুভব করি না। ফিটনেসও আন্তর্জাতিক মানের নেই। এ কারণে সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ নির্বাচকের দায়িত্ব নেয়া প্রসঙ্গে শফিক যোগ করেন, ‘বোর্ডের সঙ্গে আমার চুক্তি হবে, এটার অপেক্ষায়ই আছি এবং আশা করি সবকিছু দ্রুতই হবে।’
এবার সেই দায়িত্ব নিতেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন শফিক। শফিকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে প্রায় তিন বছর আগেই। পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন তিনি ২০২০ সালের আগস্টে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেয়ার সুযোগ পাননি তিনি।
অবশ্য এক সময় পাকিস্তান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন শফিক। বিশেষ করে মিসবাহ উল হকের দলের অন্যতম কান্ডারি ধরা হতো তাকে। ২০১৬ সালে পাকিস্তান দলের টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শফিকের।
পাকিস্তানের হয়ে ৭৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩৮.১৯ গড়ে শফিকের রান ৪ হাজার ৬৬০। নামের পাশে ১২টি সেঞ্চুরি রয়েছেন তার। আর হাফ সেঞ্চুরি ২৭টি। সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির বেশিরভাগই এসেছে ছয় নম্বরে ব্যাট করে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে মিডল অর্ডারেই সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন তিনি।
৬০টি ওয়ানডেতে ১ হাজার ৩৩৬ রান করেছেন শফিক। কোনো সেঞ্চুরি না পেলেও ৯টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৮৪ রানের। ১০টি টি-টোয়েন্টি খেললেও থিতু হতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৯২ রান। সর্বোচ্চ ইনিংসটি মাত্র ৩৮ রানের।