সূর্যের মতো ব্যাটিং কল্পনাতেও আসে না ফিলিপসের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আগস্ট পর্যন্ত মাঠের বাইরে সূর্যকুমার, করাতে হচ্ছে অস্ত্রোপচার
১৮ জুন ২৫
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সময়ের সেরা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। ভারতের এই টপ অর্ডার ব্যাটার উইকেটের চার পাশেই শট খেলতে পারেন। যা যেকোনো ব্যাটারের জন্যই চরম আরাধ্য। সূর্যের মতো এমন সব শট খেলার কথা ভাবতেও পারেন না গ্লেন ফিলিপস।
প্রতিপক্ষকে যেন নিজের তাপে পুড়াচ্ছেন সূর্য! সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলারদের জন্য রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম সূর্যকুমার। শুধুই বিশ্বকাপ নয়, চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে বেশ ধারবাহিক তার ব্যাট। ইতোমধ্যেই এক পঞ্জিকা বর্ষে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সেটাও আবার দেড়শোর বেশি স্ট্রাইকরেটে।

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ২৩৯ রান করেছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকরেটে বেশ এগিয়ে ছিলেন তিনি। আসরে স্ট্রাইকরেটের বিচারে তার ধারে-কাছেও ছিলো না আর কেউ। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৯০ স্ট্রাইকরেটে।
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
৫৫ মিনিট আগে
সূর্যকুমারের ব্যাটিং প্রসঙ্গে ফিলিপস বলেন, 'সে (সূর্য) একেবারে অবিশ্বাস্য। সে যা করে আমি স্বপ্নেও তা ভাবি না। আমি চেষ্টা করি কিন্তু আমাদের দুজনের খেলাটা (ধরন) আলাদা। সে কব্জির শক্তিতে যেসব জায়গায় ছয় মারে, এমন প্রতিভা আপনি খুব কমই দেখবেন।'
উইকেটের গিয়ে প্রথম বল থেকেই শট খেলতে পারেন, স্পিনার কিংবা পেসার যেকোনো বোলারের বিপক্ষেই সাবলীল ব্যাটিং করেন, লেগ স্ট্যাম্পের দিকে সরে এসে জায়গা করে নিয়ে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো কিংবা ল্যাপ শট সবই স্বাছন্দ্যে খেলেন সূর্যকুমার।
একজন দক্ষ মিডল অর্ডার ব্যাটারের মধ্যে যা যা থাকা প্রয়োজন তার প্রায় সব গুণই আছে সূর্যকুমারের। মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে লাইম লাইটে আসেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পরই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় তার জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে তা দুই হাত ভরে কাজে লাগিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
সাদা বলের ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। উইকেটের চার পাশে শট খেলতে পারার দক্ষতা তার এমন সফলতার অন্যতম কারণ। একই কারণে তাকে বলা হয় ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার।