'ঝাড়ুদার' থেকে নিজেকে প্রমাণে রিংকুর অপেক্ষা পাঁচ বছরের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে একসঙ্গে তিন-চার জন ক্রিকেটারের ফর্ম খারাপ ছিল’
২৬ মে ২৫
বছরের পর বছর পার হয়ে যায় কিন্তু সুযোগ মিলে না। রিংকু সিং যেন শুধু বেঞ্চ শক্তি বাড়াতেই কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে! কিন্তু না সবুরে যে মেওয়া ফলে তা হারে হারেই টের পেলেন ভারতের এই ক্রিকেটার। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে নাইট রাইডার্সের জয়ের অন্যতম কারিগর যে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
টানা ম্যাচ হেরে ক্লান্ত হয়ে বসেছিল কলকাতা শিবির। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মোমেন্টামের খেলা, একটা জয় বদলে দিতে পারে অনেক কিছু। আর নাইটদের নতুন করে আরও একবার প্লে-অফ খেলার সুযোগ বা আশা বাঁচিয়ে রাখার পেছনের কারিগর যে এই রিংকুই।
রাজস্থান বিপক্ষে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে চলতি আসরে এনে দিয়েছে ৪ নম্বর জয়। ধরছেন দারুণ দুটি ক্যাচও। আর ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, নিজেকে প্রমাণের এই দিনটির জন্য দীর্ঘ ৫ বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে।

রিংকু বলেন, ‘আমি যেখানকার ছেলে, সেই আলীগড় থেকে অনেকেই রঞ্জি ট্রফি খেলেছে। কিন্তু আইপিএলে খেলার সুযোগ এখনও কেউ পায়নি, আমিই প্রথম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চুটিয়ে খেলি। কিন্তু আইপিএলের চাপ আলাদা।'
'এখানে অনেক বেশি প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়। গত পাঁচ বছর ধরে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কঠোর পরিশ্রম করেছি। চোট পেয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে এসেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভালো খেলেছি’ আরও যোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালে ৮০ লাখ রুপিতে কলকাতায় কিনে নেয় রিংকুকে। সেই আসরে খেলেন মাত্র ৪টি ম্যাচ। পরের আসরে একটি ম্যাচ বেশি খেলার সুযোগ হয়। ২০২০ সালে খেলেন মাত্র একটি ম্যাচ, ২০২১ সালে একাদশে ছিলেন না একবারও।
সেই রিংকু এবার সুযোগ পেয়েছেন টানা তিনটি ম্যাচে। গত দুই ম্যাচে রানের দেখা পেলেও জেতাতে পারেননি দলকে। এবার অবশ্য তিনিই দলের নায়ক। এই মৌসুমে ৫৫ লাখ রুপিতে কলকাতা কিনে নেয় তাকে। চরম অর্থাভাবে একসময় ঝাড়ুদারের কাজ করতে রিংকু।
বাবা সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করেন। ঘরে চার ভাইবোন। অভাব ঘুচাতে রিংকু ক্রিকেটকে বেছে নেন। সফল হয়ে এখন তিনি আঁধার ঘরের মানিক। রিংকুর এই উত্থানে খুশি কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও। তিনি বলেন, ‘যেভাবে নিজের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই রিংকু মাথা ঠান্ডা রেখে খেলল, অসাধারণ। কলকাতার ভবিষ্যত সম্পদ হতে চলেছে ও। মনেই হচ্ছে না মাত্র একাদশে এসেছে।’