নেতা হওয়ার জন্য অধিনায়ক হতে হয় না: কোহলি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পান্ত-রাহুলের সেঞ্চুরির পর ভারতের ধস, একদিনে ইংল্যান্ডের চাই ৩৫০
১০ ঘন্টা আগে
কদিন আগেই টেস্টের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরাট কোহলি। এখন আর কোনো ফরম্যাটেই ভারতের অধিনায়ক নন তিনি। যদিও ফায়ারসাইড চ্যাট অনুষ্ঠানে আলাপচারিতায় কোহলি জানিয়েছেন নেতা হতে হলে অধিনায়ক হতে হয় না।
কোহলি নেতৃত্বে ভারত ৬৮টি টেস্ট খেলে ৪০টি ম্যাচে জিতেছে। সাবেক এই অধিনায়কের ঝুলিতে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়, টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল হওয়ার কীর্তি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেন কোহলি।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়া হয় তাকে। এর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আর অধিনায়কত্ব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
২২ জুন ২৫
অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করে কোহলি বলেছেন, ‘দেখুন, প্রথমে এটা খুব ভালো করে বুঝে নিতে হবে যে, আমি কী অর্জন করতে চাইছি। সেই টার্গেট পূরণ করতে পেরেছি কী পারিনি! সব কিছুর একটা মেয়াদ এবং সময় থাকে। সেই ব্যাপারে অবগত থাকতে হবে। একজন ব্যাটার হিসাবে আমি দলে আরও বেশি কিছু দিতে পারি। সেটা নিয়ে গর্ব করা যায়। নেতা হওয়ার জন্য অধিনায়ক হতে হয় না।’
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মহেন্দ্র সিং ধোনির ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন কোহলি। তার নেতৃতবেও ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। ধোনির প্রশংসা করে কোহলি বলেন, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন দলে ছিলেন তখন এরকম নয় যে, সে নেতা ছিল না। সে এমন একজন ছিল যাকে আমরা ইনপুট দিতে পারতাম।’
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক আসরগুলোতে অপরাজেয় দল হয়ে উঠেছিল। এমনকি ঘরের মাঠেও দারুণ পারফর্ম করছিল ভারত। এরপর কোহলির নেতৃত্বে ভারত দেশের বাইরেও নিজেদের মেলে ধরেছিল। যদিও কোনো বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ পাননি অধিনায়ক কোহলি।
কোহলি তার অধিনায়কত্বের দর্শন নিয়ে বলেন, ‘আমি আরেকটা বিষয় যোগ করতে চাই। ঠিক সময়ে সরে আসাটাও নেতৃত্বের অংশ। আমার মনে হয় একজনের সকল ভূমিকা ও দায়িত্ব সাদরে গ্রহণ করা উচিত। আমি এমএস ধোনির নেতৃত্বে খেলেছি। এরপর অধিনায়ক হই। কিন্তু আমি সবসময় একজন অধিনায়কের মতোই ভেবেছি। আমি যখন ক্যাপ্টেন হই, তখন আমার ফোকাস ছিল দলের সংস্কৃতি বদলের ওপর। আমি জানতাম আমাদের দক্ষতার কোনও অভাব নেই।’