কোহলি-ভিভ রিচার্ডসদের মতো দীর্ঘদিন সেরার আসনে থাকতে চান বাবর

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিগ ব্যাশ মাতাবেন আফ্রিদি-রিজওয়ানসহ পাকিস্তানের ৬ ক্রিকেটার
১৯ জুন ২৫
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত সময় পার করেছেন বাবর আজম। এক সেঞ্চুরি ও এক হাফ সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচে করেছেন ২২৮ রান। ফলে বিরাট কোহলিকে টপকে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছেন বাবর। ১২৫৮ দিন আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন কোহলি।
পাকিস্তানের এই অধিনায়ক শীর্ষে উঠে আসায় অবসান ঘটেছে কোহলির রাজত্বের। এর আগে ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন স্যার ভিভ রিচার্ড। কোহলি ও ভিভ রিচার্ডের মতো দীর্ঘদিন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকতে চান বাবর।

৮৬৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছেন বাবর। দুইয়ে থাকা কোহলির রেটিং পয়েন্ট ৮৫৭। আর ৮২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছেন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন বাবর।
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
২২ জুন ২৫
এর আগে ১৯৮৩-৮৪ সালে জহির আব্বাস, ১৯৮৮-৮৯ সালে জাভেদ মিয়াদাদ এবং ২০০৩ সালে মোহাম্মদ ইউসুফ এক নম্বরে উঠেছিলেন। শীর্ষে উঠার পর সেই আসন ধরে রাখতে আরও বেশি পরিশ্রম করতে চান বাবর। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে চান।
এ প্রসঙ্গে বাবর বলেন, ‘এটি আমার ক্যারিয়ারের আরও একটি মাইলফলক। স্যার ভিভ রিচার্ড ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এবং কোহলি ১২৫৮ দিন শীর্ষ ছিল। এরকম দীর্ঘসময় র্যাঙ্কিংয়ে থাকতে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হতে হবে।’
ওয়ানডেতে নাম্বার ওয়ান হলেও টেস্টে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছেন বাবর। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৭৯৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এক নম্বরেও ছিলেন দীর্ঘদিন। তবে বাবরের স্বপ্ন টেস্ট ক্রিকেটে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলাম। তবে আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের নেতৃত্ব দেয়া। যা একজন টেস্ট ব্যাটসম্যানের খ্যাতি ও দক্ষতার পুরস্কার। আমি এই লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি যে, আমি কেবল ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করলেই হবে না। কিন্তু বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো করতে হবে।’