promotional_ad

অতিমানবীয় স্যামসনেও শেষ রক্ষা হলো না রাজস্থানের

 সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি: আইপিএল শিরোপা-উদযাপনের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে বিসিসিআই

২২ জুন ২৫
শিরোপা উদযাপনে ব্যস্ত কোহলিরা, ফাইল ফটো

২২২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে হলে অতিমানবীয় কিছু করতে হতো রাজস্থান রয়্যালসকে। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন তা করলেনও কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না। 'ওয়ান ম্যান আর্মি'র মতো ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়েও পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তার দলকে হারতে হলো মাত্র ৪ রানে।


রাজস্থানের শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম তিন বলে ২ রান, চতুর্থ বলে ছয় হাঁকিয়ে স্যামসনই ব্যবধান কমিয়ে আনলেন ২ বলে ৫ রানে। পঞ্চম বলটা মিড অফের ওপর দিয়ে সজোরে হাঁকিয়েও চারের আশায় রান নিলেন না দলীয় অধিনায়ক।


শেষ বলে ৫ রানের প্রয়োজনে ছয় হাঁকানো চেষ্টা করলেন। উল্টো দিপক হুদার হাতে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যেতে হলো। পুরো ম্যাচে অবিশ্বাস্য ব্যাট করা স্যামসনের বদলে ম্যাচ জয়ের নায়ক বনে গেলেন পাঞ্জাবের আর্শদ্বীপ সিং।


অবশ্য এই স্যামসন ছাড়া রাজস্থানের আর কোন ব্যাটসম্যান ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে তার নামের পাশে ৬৩ বলে ১১৯ রান। এবারের আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি, স্যামসনের তৃতীয়।


রাজস্থানের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে জস বাটলার এবং রিয়ান পরাগের ব্যাট থেকে। দুজনই করেন ২৫ রান আর শিভাম দুবের ব্যাট থেকে আসে ২৩। পাঞ্জাবের হয়ে ম্যাচের নায়ক আর্শদ্বীপের শিকার ৩ টি উইকেট। ২টি নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি।


promotional_ad

এদিকে টসে জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন এই স্যামসনই। এটাই যেন তার দলের জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। পাঞ্জাবের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এবং হুদা রাজস্থানের বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালান।


শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন রাহুল। ১৪ রান করে মায়াঙ্ক আগারওয়াল আউট হলেও রানের চাকা থেমে যায়নি। তিন ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গেইলও মেরে খেলতে শুরু করেন। দুজনের মিলে যোগ করেন ৬৭ রান।


২৮ বলে ৪০ রান করা গেইলকে ফেরান পরাগ। তিনি আউট হবার পর দীপক হুদা যেন আরো বিদ্ধংসী হয়ে ওঠেন। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাত্র ২৮ বলে ৬৪ রান করেন। যে রান করতে তিনি ৬ টি ছয় এবং ৪ টি চার হাঁকান।


অধিনায়ক রাহুল শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত থেকেছেন। ৫০ বলে ৯১ রান করা তিনি সাকারিয়ার বলে আউট হয়ে যান। এই রান করতে তিনি ৭ টি চার এবং ৫টি ছয় হাঁকান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব।


মুস্তাফিজুর রহমানের মতো রান খরচায় বেহিসেবী ছিলেন রাজস্থানের বাকি বোলাররাও। তাদের মধ্যে সাকারিয়া ৩১ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। ২টি উইকেট শিকার করেন ক্রিস মরিস। আর মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন।


সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:


পাঞ্জাব কিংস: ২২১/৬ (২০ ওভার) (রাহুল ৯১, হুদা ৬৪, গেইল ৪০; সাকারিয়া ৩/৩১, মরিস ২/৪১)


রাজস্থান রয়্যালস: ২১৭/৭ (২০ ওভার) (স্যামসন ১১৯, বাটলার ২৫, পরাগ ২৫; আর্শদ্বীপ ৩/৩৫, সামি ২/৩৩)


ফল: পাঞ্জাব কিংস ৪ রানে জয়ী।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball