মনে হতো আমি পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী ব্যক্তি: কোহলি

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০২৭ বিশ্বকাপে রোহিত-কোহলির জায়গা পাওয়া কঠিন হবে, মনে করেন গাঙ্গুলি
২২ জুন ২৫
আশানুরূপ পারফর্ম করতে না পারায় ক্রিকেটার কিংবা অন্যান্য খেলার তারকা খেলোয়াড়রা মানসিক অবসাদে ভোগেন। অনেকে সেই অবসাদ নিয়ে খেলা চালিয়ে যান। আবার অনেকে কাটিয়ে ওঠতে না পেরে আত্মসহত্যার মতো পথ বেছে নেন। অন্য অনেকেরে মতো মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন বিরাট কোহলিও। সেই সময় নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী মানুষ মনে হতো বলে জানিয়েছেন ভারতীয় এই অধিনায়ক।
২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরটি সবসময়ই ভুলে যেতে চাইবেন কোহলি। কারণ সেই সিরিজে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। পাঁচ টেস্টে কোহলির রান ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ এবং ২০। ১০ ইনিংসে গড় ছিল মাত্র ১৩.৫০। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের সিরিজেই দারুণ সময় পার করেছিলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।

যেখানে অজিদের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৯২ রান। রানখরায় থাকেন ইংল্যান্ড সফরে মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নিজেকে পৃথিবীর একাকী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি ইংলিশ ক্রিকেটার মার্ক নিকোলাসের সঙ্গে ‘নট জাস্ট ক্রিকেট’ পডকাস্টেই এসব তথ্য দিয়েছেন কোহলি।
৪ বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে আর্চার
৯ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হত রান করতে পারব না, এটা মোটেই ভালো অনুভূতি নয়। সমস্ত ব্যাটসম্যানই কখনো না কখনো নিশ্চয় এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন যখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আর কিছুই থাকে না। এই বিষয় কিভাবে রেহাই মিলবে, তা বুঝতে পারা যায় না। সেই সময়ে এমন অবস্থায় পড়েছিলাম, যখন আমি কোনো কিছুই করতে পারছিলাম না। আমার মনে হতো, আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে একাকী ব্যক্তি।’
সেই সময়ের তাঁকে সাহায্য করার জন্য দলে অনেক থাকলেও সেটা কাজে আসেনি। সেই অবস্থা থেকে কাটিয়ে ওঠতে পেশাদারি সহায়তার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তিনি মনে করেন, কেউ যদি এরকম মানসিক অবসাদে ভুগে তাহলে সেই সময় তাঁর এমন একজন প্রয়োজন যাকে তিনি সবকিছু বলতে পারবে কোনো সংকোচ ছাড়াই।
কোহলি বলেন, ‘বড় এক গ্রুপের সদস্য হয়েও একাকী মনে হতে পারে। এটা সেই সময় উপলব্ধি করি। এমন নয় যে আমাকে মানসিক সমর্থন দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। তবে সেই সময় আমার প্রয়োজন ছিল পেশাদারি সহায়তার। এমন একজনের প্রয়োজন যাঁর কাছে যে কোনো সময় গিয়ে নির্দ্বিধায় বলা যাবে।
‘আমি কি অনুভব করছি, ঘুমোনো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠতে চাইছি না- সবকিছু। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় কাটায়। মাসের পর মাস, কখনো কখনো সেটা পুরো ক্রিকেট মৌসুম পেরিয়ে যায়। সেই কারণেই পেশাদারি সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।’