স্পিনার হওয়ার ভয়ে ১০দিন অনুশীলনেই যাননি কুলদীপ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফাইনাল খেলতে চায়নি ভারত
২৮ মার্চ ২৫
ক্রিকেটের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে সেটা চোখে পড়ার মতো না। তবে বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছে চায়নাম্যান শব্দটি। যদিও এই শব্দটির সঙ্গে চীনের কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত বাঁ-হাতি লেগ স্পিনারদেরকে চায়নাম্যান বলা হয়। সময়ের পালাক্রমে অনেক চায়নাম্যান বোলারই ক্রিকেট বিশ্বে দাপট দেখিয়েছে।
তারকা খ্যাতি পাওয়া ব্র্যাড হগ ও পল এডামস থেকে শুরু করে হালের কুলদীপ যাদবরা। বর্তমানে কুলদীপ ছাড়াও চায়নাম্যান বোলার হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার লক্ষণ সান্দাকান ও সাউথ আফ্রিকার তাবারিজ শামসি। যদিও তাঁদের সঙ্গে নামই থাকার কথা ছিল না কুলদীপের।

কারণে শৈশবে স্পিনার নয় বরং পেস বোলার হতে চেয়েছিলেন তিনি। শৈশব থেকেই উইকেটের দুই পাশেই বল সুইং করাতে পারতেন তিনি। কিন্তু শারীরিক গঠনে ছোটোখাটো হওয়ায় তাঁকে স্পিনার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর কোচ। কিন্তু কোচের এমন পরামর্শ পছন্দ হয়নি তাঁর। যে কারণে ১০ দিন অনুশীলনেই আসেননি বাঁহাতি এই স্পিনার।
৪ বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে আর্চার
১৫ ঘন্টা আগে
কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওয়েবসাইটে এক ভিডিও বার্তায় কুলদীপ বলেন, ‘তখন পেস বোলিং করতে খুব ভাল লাগতো। ভাবতাম আমি ভালই বল করি। আমার কব্জির ব্যবহার দেখে কোচেরও একই ধারণা ছিল। ১০-১১ বছর বয়স থেকেই দু’দিকে বল ঘোরাতে পারতাম। কিন্তু শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় কোচ আমাকে স্পিন বোলিং করার পরামর্শ দেয়।’
তিনি আরও বলেন , ‘প্রথমে খুব মন খারাপ হয়েছিল। সবসময়ই পেস বোলার হতে চেয়েছি। স্পিন বোলিং ভালো লাগত না। কোচকে রেগে বলেওছিলাম স্পিন করতে চাই না। এতটাই রেগে ছিলাম ১০ দিন মাঠে যাইনি। কিন্তু স্যার বলেছিল যদি ক্রিকেট খেলতে চাই, তাহলে স্পিন বোলিংই অনুশীলন করা উচিত। স্যারের কথা মেনে স্পিন করা শুরু করি এবং প্রথম চেষ্টাতেই চায়নাম্যান বোলিং করি।’
এরপর থেকেই চায়নাম্যান বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তাঁতে সাফল্যও পাচ্ছিলেন। তবে ঠিক কি কারণে চায়নাম্যান বোলিং শুরু করেন সেটা নিজেও জানেন না তিনি। তবে কোচের চাওয়াতে সেটাতেই মনস্থির করেন এই স্পিনার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন জানি না, প্রথম থেকেই চায়নাম্যান বোলিং করতে শুরু করি। নিজে থেকেই এটা এসেছিল। কোচও বুঝতে পেরেছিল আমার বিরল প্রতিভা। তাই সেটাকেই রেখে দেন।’