ব্রিসবেন টেস্টে বাড়ছে দর্শক

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্বে পেইন
২০ জুন ২৫
গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের সিরিজ ও ডিসেম্বরে পুরুষ দলের ভারতের বিপক্ষে ৫০ শতাংশ দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। যদিও সিডনি টেস্টে সেই সংখ্যা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছিলো। কিন্তু ব্রিসবেনেই বাড়ছে সেই সংখ্যা।
অনেক জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে অবশেষে গ্যাবায় খেলতে রাজি হয়েছে ভারত। সফরকারীদের কঠোর কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হলেও ব্রিসবেনে মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শক।
কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকারের দেয়া সুরক্ষা নির্দেশনা মেনেই শেষ টেস্টের দর্শক সংখ্যা নির্ধারণ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। একারণেই প্রতিদিন গ্যাবার গ্যালারি মুখোরিত হবে প্রায় ২০ হাজার দর্শকের চিৎকারে। যেখানে সিডনিতে প্রত্যেকদিন ১০ হাজারেরও কম সংখ্যক মানুষ স্টেডিয়ামে প্রবেশের আনুমতি পেয়েছিলো।

স্টেডিয়ামে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় দর্শকেদের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক বলে আদেশ দিয়েছেন কুইন্সল্যান্ড রাজ্য প্রধান আননাস্টেসিয়া প্যালাস্কজুক। তিনি বলেন, 'গ্যাবায় ধারণক্ষমতার অর্ধেক মানুষ উপস্থিত থাকবে। গ্যালারিতে প্রবেশের সময়, বের হওয়ার সময় ও ঘোরাঘুরির সময় মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক।'
চতুর্থ টেস্ট নিরাপদে আয়োজনের জন্য নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে সিএ। একই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে সঙ্গে নিয়ে কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে তারা। এর সঙ্গে জড়িত সকল ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, মাঠ কর্মী কিংবা সম্প্রচার দলের পর্দার পিছনে কাজ করে যাওয়া সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নিরাপদে গ্যাবার চতুর্থ টেস্ট আয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানেও আমরা নিশ্ছিদ্র জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করবো।'
'আজ অবধি আমরা সফল এবং নিরাপদ ক্রিকেটীয় গ্রীষ্মের আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য জৈব সুরক্ষা বলয় প্রোটোকল রক্ষা, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতা সমর্থন এবং পর্দার আড়ালে এত লোকের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সকলকে ধন্যবাদ,' তিনি আরো যোগ করেন।
রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ও ভারতীয় বোর্ডকেও নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন হকলি।যে সকল পরিস্থিতিতেই খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা ও বৃহত্তর গোষ্ঠির নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
হকলি আরো বলেন, ' আমি কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকারকে তাদের সহযোগিতা ও আন্তরিকতার নিয়ে সিএ'র সঙ্গে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে বিসিসিআই কেও ধন্যবাদ কারণ তাদের সম্মতিতেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই চতুর্থ টেস্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। সেখানে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও বৃহত্তর গোষ্ঠির নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'