দিবা-রাত্রি ম্যাচে সুবিধা পাবে স্পিনাররা: যাদব

ছবি: সংগৃহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্বে পেইন
২০ জুন ২৫
বোর্ডার-গাভস্কার সিরিজ ধরে রাখার মিশনকে সামনে রেখে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে রবিচন্দন আশ্বিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে নেমেছিলেন কুলদীপ যাদব। যদিও পরবর্তী দিবা-রাত্রি প্রস্তুতি ম্যাচেই ভারতীয় একাদশ সাজিয়েছিলো বিশেষজ্ঞ স্পিনারদের ছাড়াই। তবুও কুলদীপের মতে গোলাপি বলের ম্যাচে বল সুবিধা পাবেন স্পিনাররা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের প্রথম টেস্ট দিয়েই বিদেশের মাটিতে দিবা-রাত্রি টেস্টে অভিষেক হবে ভারতের। গোলাপি বলের টেস্টে ভারতের অভিজ্ঞতা মাত্র এক ম্যাচের। নিজেদের দেশে সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে বোলিং দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে বড় ব্যাবধানে জিতেছিলো তাঁরা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার গতিময় উইকেটে স্পিনাররা কেমন করবেন সেটিই এখন ভাবনার বিষয়। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে যাদবের উইকেটবিহীন থাকা সেই ভাবনাকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভারতের বাহিরে এখনো গোলাপি বল হাতে মাঠে নামা হয়নি কুলদীপের। কিন্তু তিনি মনে করেন,দিবা-রাত্রির ম্যাচে কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। তাদের বলের গতি, লাইন লেন্থের ভিন্নতা দিয়েই তা তুলে নেয়া সম্ভব। আর এ ভাবনাটিই তাঁকে খেলতে উদ্বুদ্ধ করছে।

এ প্রসঙ্গে কুলদীপ বলেন, 'রাতে ব্যাটসম্যানদের স্পিন বোলারদের মোকাবিলা করতে সমস্যা হবে। তারা বোলিং বৈচিত্র ব্যবহার করেন তখন বলের সিম পজিশন বুঝতে পারা কঠিন। এটিই আমাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। ভারতের বাহিরে গোলাপি বলে খেলার আমার অভিজ্ঞতা নেই। তাই এটি কেমন হবে দেখা অবশ্যই উত্তেজনাকর হবে।'
'অস্ট্রেলিয়ায় স্পিনাররা রাজত্ব করতে পারেন না' এই মতবাদের সাথে একমত নন যাদব। তাঁর মতে বিদেশে খেলতে গেলে দ্রুততম সময়ে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার বিকল্প নেই। একই সাথে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে ধৈর্যহারা হলে চলবেনা বলেও মত দেন এই স্পিনার।
'অস্ট্রেলিয়াতে স্পিনাররা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেননা এটি বলা অনুচিত হবে। তাদের সেখানে সফলতার অনেক উদাহরণ রয়েছে। আপনি কত দ্রুত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে, পড়তে পারছেন তার উপরে নির্ভর করছে। আমরা অনেকেই এখন অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলি, টেস্ট খেলার সময় তাদের আরো বেশি ধৈর্য ধরতে হবে। মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলতে নেমে একসঙ্গে দ্রুততম সময়ে অনেক কিছু করার চেষ্টা থাকে। টেস্টে উইকেট খুব সহজে আসেনা, তাই ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি', যাদব যোগ করেন।
২০১৯ সাল থেকেই খারাপ সময় যাচ্ছে ২৫ বছর বয়সী এই স্পিনারের। যাদব সেসময় থেকে সকল ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৮ ম্যাচ খেললেও উইকেট সংখ্যা মাত্র ৩৪টি। আর এ কারণেই ভারতীয় দলের সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) একাদশ থেকেও জায়গা হারিয়েছেন। খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে নিজের আত্মবিশ্বাসের অভাব আর শারীরিক ভাষাকে দুষছেন তিনি। আর সেগুলো নিয়েই অস্ট্রেলিয়া গ্রেট শেন ওয়ার্নের শরণাপন্ন হয়ে কাজ করেছেন বলেও জানান যাদব।
ওয়ার্নের পরামর্শ সম্পর্কে তিনি বলেন 'বছরের পর বছর ধরে বোলিংয়ের বিষয়ে তিনি অনেক মূল্যবান তথ্য ভাগ করেছেন, তবে মূলত সে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলে। মুখে সবসময় হাসি ধরে রাখতে বলেছে সে। সেটিকে স্পিনারদের সহজাত গুণ বলে মত তার। তার মতে কোন বোলারের চেহারায় যদি চাপের ছাপ থাকে সেটি তার শারীরিক ভাষাতেও দোদ্যুল্যমান অবস্থায় ফেলে। আমি বিশেষত এই বিষয় নিয়েই কাজ করছি। আমার মতে এগুলো আমার জীবনে পাওয়া অন্যতম সেরা উপদেশ।'