‘আমি ধোনি নই’

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হোল্ডস্টকের টিভি আম্পায়ারিং, স্যামির ‘সন্দেহ’ এবং স্টার্কের স্বীকারোক্তি
১১ ঘন্টা আগে
উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মানেই যেন অন্য রকম কিছু। গ্লাভস হাতে তাঁর বিদ্যুত গতি ধোঁকা দিয়েছে অনেক ব্যাটসম্যানকে। ব্যাটস্যামন ক্রিজ থেকে সামান্যতম দুরে, ওই মুহূর্তে ধোনির হাতে বল মানেই চোখের পলকে স্ট্যাম্পের বেল উড়ে যাওয়া। এ এক চেনা পরিচিত দৃশ্য।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) সিডনিতে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ধোনির মতো বিদ্যুৎ গতির না হতে পারার জন্য আক্ষেপ করতে দেখা গেছে ম্যাথু ওয়েডকে। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের মুখে ভারতের সাবেক অধিনায়ককে নিয়ে এমন আক্ষেপ কিছুটা হলেও অচেনা লেগেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।
বিশেষ করে বলতে গেলে ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের কাছে। কেননা ভারত-অস্ট্রেলিয়া মানেই মাঠের লড়াই, কথার লড়াই আর রেষারেষি। এর কারণও আছে অবশ্য, সেটা সৌরভ গাঙ্গুলির টসের জন্য স্টিভ ওয়াহকে দাঁড় করিয়ে রাখা হোক কিংবা স্টিভ স্মিথের ব্রেন ফেড হোক বা অজি ক্রিকেটারদের চিন মিউজিক শোনানোর হুমকি।

"Not Dhoni, not quick enough like Dhoni!"
Live #AUSvIND: https://t.co/L1KY15FYnb pic.twitter.com/IOC7NH2xgb
— cricket.com.au (@cricketcomau) December 6, 2020আরো পড়ুনআর্চারকে নিয়ে বাজি ধরেছে ইংল্যান্ড, ধারণা নাসেরের
৮ ঘন্টা আগে![]()
সবক্ষেত্রেই এক রেষারেষির গল্প। তবে ভিন্নতা দেখা গেলো কেবলই ওয়েডের ক্ষেত্রে। তাতে অবাক না হয়ে যেন উপায় নেই সমর্থকদের। ঘটনাটি ঘটেছিল ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের নবম ওভারে এবং অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার মিচেল সোয়েপসনের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে। ওই ওভারের পঞ্চম বলটি শিখর ধাওয়ান কাট করতে গেলে তা ব্যাট-বলে হয়নি। পরবর্তী বলটি অনেকটা বাইরে দিয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার ওয়াইড ঘোষণা করেন।
তখনই ঘটে মূল ঘটনাটি। কাট করতে গিয়ে ক্রিজ থেকে কিছু কিছুটা বাইরে বেরিয়ে গিয়েছেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাতে বেল উড়িয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। যদিও ততক্ষণে ক্রিজের ভেতরে প্রবেশ করে ফেলেছেন ধাওয়ান। ওয়েডের আবেদন তৃতীয় আম্পায়ার পর্যন্ত পৌঁছালেও আউট হয়নি।
যা নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা যায় ওয়েডকে। ধাওয়ানের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘ধোনি হতে পারলাম না। ধোনির মতো বিদ্যুৎ গতির হতে পারলাম না।’ ওয়েডের সেই মন্তব্য স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে। যা শুনে হেসে ফেলেন ধাওয়ান এবং ধারাভাষ্যকাররা।
শেষ পর্যন্ত ৫২ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের টানা দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত।