হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে তো ভারত?

ছবি: সংগ্রহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
হোল্ডস্টকের টিভি আম্পায়ারিং, স্যামির ‘সন্দেহ’ এবং স্টার্কের স্বীকারোক্তি
১১ ঘন্টা আগে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সদ্য সমাপ্ত আসরে বলে-ব্যাটে দাপট দেখিয়েছে ভারতীয়রা। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে নিজেদেরকে হারিয়ে যেন খুঁজছেন তারা। আইপিএলে উড়তে থাকা ক্রিকেটাররা উল্টো চিত্র দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের ঠিক বিপরীতে হাঁটছে অজি ক্রিকেটাররা। আইপিএলে কেউ আহামরী পারফরম্যান্স না করলেও দেশের হয়ে ঠিকই দাপট দেখাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্টিভেন স্মিথ-অ্যারন ফিঞ্চরা। শেষ ম্যাচে জিতে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয়ার অপেক্ষায় অজিরা।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড যেন ভারতের জন্য অভিশাপ। পরিসংখ্যান অবশ্য সে কথাই বলে। সেখানে খেলা ১৮ ওয়ানডের মাঝে কেবল মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছে ভারত। সিডনির মাঠ ছেড়ে এবার ক্যানবেরায় মাঠে নামার অপেক্ষায় বিরাট কোহলির দল। ভেন্যু পরিবর্তনের পর কোহলিরা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারবে তো ?
নিজেদের শেষ ছয় পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে তারা। সেই সঙ্গে অজি বোলার এবং ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের কারণে ভাগ্য বদলানোটা অনেকটা কঠিন হতে পারে। তবে ম্যাচ জিততে তাকিয়ে থাকতে হবে টস ভাগ্যের উপর এবং ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের উপর। কারণ এখানে ক্যানবেরাতে খেলা সর্বশেষ সাত ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছে আগে ব্যাট করা দল।

তাই সেখানে টস জিতে যে কোন দলই আগে ব্যাট করতে চাইবে। তাই ম্যাচ জেতার জন্য টস জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। কিন্তু নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই টস জিততে ব্যর্থ কোহলি। টসে জিতে ব্যাটিং করলেও সেখানে অন্তত ৩২০ এর অধিক রান তুলতে হবে আগে ব্যাট করা দলকে। সেখানে খেলা সর্বশেষ চার ম্যাচের দলীয় সংগ্রহ ৩৭২/২, ৪১১/৪, ৩৪৮/৮ এবং ৫ উইকেটে ৩৭৮ রান।
আর্চারকে নিয়ে বাজি ধরেছে ইংল্যান্ড, ধারণা নাসেরের
৮ ঘন্টা আগে
সেখানে খেলা সর্বশেষ ম্যাচে অবশ্য নাটকীয়ভাবে হার দেখতে হয়েছে ভারতকে। ১ উইকেটে ২৭৭ রান করা দলটি শেষ ৯ উইকেটে ৭৫ বলে ৭২ রান করতে পারেনি। শেষ ৯ উইকেটে মাত্র ৪৬ রান তুলেছিল তারা। আগামীকালকের ম্যাচে হারলেও চলতি বছর দুইবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হবে তাদেরকে। এর আগে বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল তারা।
ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করায় নিজেদের বেঞ্চের শক্তি দেখে নেয়ার জন্য পরিবর্তন আনতে পারে ফিঞ্চের দল। যেখানে প্যাট কামিন্সের পরিবর্তেেএকাদশে দেখা যেতে পারে পেসার শেন অ্যাবটকে। এছাড়া ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়ায় তৃতীয় ম্যােচে খেলা হচ্ছে না ডেভিড ওয়ার্নারের। তাঁর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেতে পারেন ডি আর্কি শর্ট অথবা ম্যাথু ওয়েডের কেউ একজন।
পরিবর্তন আসতে পারে ভারতীয় একাদশেও। প্রথম দুই ম্যাচে নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় জায়গা হারাতে পারেন শ্রেয়াস আইয়ার, নবদীপ সাইনি এবং যুবেন্দ্র চাহালরা। যেখানে আইয়ারের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে মনিষ পান্ডে বা স্যাঞ্জু স্যামসনের কাউকে। এছাড়া সাইনির বদলি শার্দুল ঠাকুর এবং চাহালে জায়গায় কুলদীপ যাদবকে দেখা যেতে পারে।
সম্ভাব্য একাদশ:
অস্ট্রেলিয়া: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক). ম্যাথু ওয়েড / ডি আর্কি শর্ট, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস ল্যাবুশেন, ময়সেস হেনরিকস, অ্যালেক্স ক্যারি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, শেন অ্যাবট, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা এবং জস হ্যাজেলউড।
ভারত: মায়াঙ্ক আগাওয়াল, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), মনিষ পান্ডে / সাঞ্জু স্যামসন, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর / নবদীপ সাইনি, মোহাম্মদ শামি, জসপ্রিত বুমরাহ এবং যুবেন্দ্র চাহাল / কুলদীপ যাদব।