ভারতের জয়ে ফেরা নাকি অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আর্চারকে নিয়ে বাজি ধরেছে ইংল্যান্ড, ধারণা নাসেরের
৮ ঘন্টা আগে
নিজেদের শেষ চার ওয়ানডে ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে ভারত। ওয়ানডেতে যে জিততে ভুলে যাচ্ছে বিরাট কোহলির দল। যদিও এমনটা এবারই প্রথম নয়। এমন করুণ সময় পার করতে হয়েছে আগেও। ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টানা চার ওয়ানডেতে হেরেছিল ভারত। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। এর মাঝে টানা চার ম্যাচে হারের রেকর্ড ডিঙিয়ে টানা পাঁচ এবং ছয় ম্যাচ হারা রেকর্ড আছে তাদের।
২০১৬ সালের টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর গেল চার বছরে ওয়ানডেতে এতটা খারাপ সময় পার করতে হয়নি ভারতকে। চার বছর আগের রেকর্ড কি আবারও স্পর্শ করবে কোহলির দল। আগামীকাল সিডনিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারলেই আরও একবার টানা পাঁচ ম্যাচে হার দেখতে হবে তাদেরকে।
যদিও সে সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলার ১৮ ম্যাচের ১৫টিতেই হেরেছে তারা। সিডনিতে তাদের সর্বশেষ জয় ২০১৬ সালে। এরপর খুব বেশি ম্যাচ না খেললেও সেখানে জয় পায়নি তারা। দুই জয়ের মাঝে আগের জয়টি ছিল ২০০৮ সালে। ভারত যেখানে টানা পাঁচ ম্যাচ হারার লজ্জায় পড়তে যাওয়ার শঙ্কায়, সেখানে টানা তিন ম্যাচ জিতে হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া।

কাগজে-কলমে আর সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের থেকে এগিয়ে থাকবে অজিরা। প্রথম ম্যাচে অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। এরপর বোলারদের নৈপূণ্যে ৬৬ রানে জয় পায় ফিঞ্চের দল। ভারতের হয়ে শিখর ধাওয়ান এবং হার্দিক পান্ডিয়া চেষ্টা করলেও সেটা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
হোল্ডস্টকের টিভি আম্পায়ারিং, স্যামির ‘সন্দেহ’ এবং স্টার্কের স্বীকারোক্তি
১১ ঘন্টা আগে
টানা হারে হতাশায় ডুবে থাকা ভারতীয় দলে আসতে পারে দুটি পরিবর্তন। নবদীপ সাইনির পরিবর্তে দেখা যেতে পারে থাঙ্গারাসু নাটারাজনকে আর যুবেন্দ্র চাহালের বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে কুলদীপ যাদবকে। পরিবর্তন আসতে পারে অস্ট্রেলিয়া দলেও। সাইড ইনজুরিতে পড়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে মার্কাস স্টয়নিসের।
তাঁর পরিবর্তে দলে দেখা যেতে পারে তরুণ অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রীনকে। গত কয়েক মৌসুমে ধরে নিয়মিত পারফর্ম করছেন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শেফিল্ড শিল্ডে। যদিও তালিকায় নাম আছে শেন অ্যাবট ও ময়সেস হ্যানরিকেরও। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে একাদশে জায়গা পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা গ্রীনের।
দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের জন্য হুমকির কারণে হয়ে দাঁড়াতে পারে স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। আর প্যাট কামিন্স-মিচেল স্টার্কদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুল।
সম্ভাব্য একাদশ:
ভারত: শিখর ধাওয়ান, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), শ্রেয়াস আয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, থাঙ্গারাসু নাটারাজান, কুলদীপ যাদব, মোহাম্মদ শামি এবং জসপ্রিত বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়া: ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), স্টিভেন স্মিথ, মার্নাশ ল্যাবুশেন, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রীন, প্যাট কামিন্স, অ্যাডাম জাম্পা, মিচেল স্টার্ক এবং জস হ্যাজেলউড।