শচিনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর গোসল করতে চাননি যুবরাজ

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

ভারতের এমনকি সারা বিশ্বের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানদের তালিকা করা হলে শচিন টেন্ডুলকার থাকবেন সবার উপরে। তার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়া যে কারোরই জন্য অনেকটা স্বপ্নের মত। যুবরাজ সিংও তার ব্যাতিক্রম নন। টেন্ডুলকারের সঙ্গে প্রথম হাত মেলানোর পর এতটাই শিহরিত ছিলেন তিনি যে এরপর আর গোসল করতে চাননি। 

ভারতের অন্যতম অলরাউন্ডার যুবরাজের অভিষেক ঘটে ২০০০ সালে। ততদিনে টেন্ডুলকার ভারতের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একজন। নামের পাশে বিশ্বের অন্যতমও সেরা ব্যাটসম্যানের তকমাও যোগ হয়েছে তাঁর। স্বভাবতই ভারত ড্রেসিংরুমে নতুন অভিষেক ঘটা ক্রিকেটারদের জন্য টেন্ডুলকার তখনও স্বপ্নের মত।
 
নেটফ্লিক্সের 'স্টোরিজ বিহাইন্ড দ্য স্টোরি' শিরোনামের একটি ভিডিওতে এসেছিলেন যুবরাজ। সেখানেই টেন্ডুলকারের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। এমনকি টেন্ডুলকারের সঙ্গে প্রথম করমর্দন পরে পুরা হাত সারা শরীরে বুলিয়ে টেন্ডুলকারের মুগ্ধতা অনুভব করতে চাইতেন এই ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।  

ঐ ভিডিওতে তিনি বলেন, 'আমি আমার ক্লাসে ব্যাকবেঞ্চার ছিলাম, বাসেও ব্যাকবেঞ্চার ছিলাম। সেই মুহুর্তটা যখন তিনি আসলেন এবং জহির খান, বিজয় ডাহিয়া ও নতুন মুখদের সঙ্গে হাত মেলালেন। আমি এখনো মনে আছে, যখন তিনি পিছনে ঘুরে তাকিয়ে তার আসনে বসলেন তারপর আমি আমার হাতটি সারা শরীরে বুলিয়ে দিলাম। আমি গোসল করতে চাইতাম না কারন আমি টেন্ডুলকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছি!'

খারাপ সময়গুলোতে টেন্ডুলকারের মত কিংবদন্তীর পরামর্শ নিতে ভোলেননি যুবরাজ। এতদিন ধরে এই ব্যাটিং জিনিয়াসের সঙ্গে খেলার কারনে বেশ খোলামেলা আলোচনা করতে পারতেন। যা তাকে অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে যুবরাজ আরো বলেন, 'যখন সবকিছু ঠিকমত চলবে না তখন আপনাকে একজন অভিজ্ঞের কাছে পরামর্শের সন্ধান করতে হবে। আমি কয়েক বছর ধরে তার আচরণ এবং তিনি কীভাবে নিজেকে মাঠে উপস্থাপন করেন তা দেখে এসেছি। তাই তার সঙ্গে আমার একটি অসাধারণ সম্পর্ক ছিল। যেখানে আমি তার সঙ্গে আমার জীবন নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারতাম।'