গলফ ছেড়ে ৭ বছর পর ক্রিকেটে ফিরলেন ক্রেমার

ছবি: ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯ টেস্ট, ৯৬ ওয়ানডে এবং ২৯ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ক্রেমার। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ডানহাতি লেগ স্পিনারের শিকার ২১১ উইকেট। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮ টেস্ট, ৩৫ ওয়ানডে এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলেছেন ২০১৮ সালের মার্চে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
ফকসের ‘৯ উইকেটে’ নিউজিল্যান্ডের ৩৫৯ রানের জয়
৯ আগস্ট ২৫
ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাই পেরিয়ে ২০১৯ বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ায় স্ত্রী মের্নার সঙ্গে দুবাইয়ে পাড়ি জমান ক্রেমার। সেখানে উড়োজাহাজের পাইলট হিসেবে কাজ করেন ক্রেমার। ওই সময়টা পরিবার ও বাচ্চাদের দেখভাল করেছেন তিনি। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোচিং স্টাফে কাজ করেছেন, জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালস ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং গলফও খেলেছেন তিনি।

এসব ছেড়ে আবারও ক্রিকেট ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রেমার। ৭ বছর পর জিম্বাবুয়ের ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩ আগষ্ট তাকাসিংহা প্যাট্রিয়টস ওয়ান ক্রিকেট ক্লাবের ১৩৪ রানের জয়ের ম্যাচে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ডানহাতি এই লেগ স্পিনার। ৪৫ ওভারের টুর্নামেন্টে পরের ম্যাচে নিয়েছেন ৪৪ রানে ৪ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও তিনি।
কোয়েকোয়ে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ফিরতে পারায় খুশি ক্রেমার। থ্রি-মব ডটকমকে ডানহাতি এই লেগ স্পিনার বলেন, ‘ফিরতে পারাটা অসাধারণ। কোয়েকোয়ে আমার ঘরের মাঠ ছিল অনেক বছর। এখানে আবার হাঁটতে পেরে এবং তাকাসিংহার মতো নামী ক্লাবে খেলতে পেরে দারুণ লাগছে। তারা আমাকে দলে আলিঙ্গন করে নিয়েছে এবং দলের আবহ চমৎকার। শুরুটা যেভাবে হয়েছে, আমি তাতে উচ্ছ্বসিত।’
ক্রেমারের খেলা প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন ব্রেন্ডন টেলরও। সেই ম্যাচে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে চলতি সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলেও ফিরেছেন তিনি। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভাবনায় তাকে ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। একই ভাবনায় ফেরানো হতে পারে ক্রেমারকেও। তবে এসব ছাপিয়ে পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আবারও মাঠে ফিরতে পারায় খুশি তিনি।
ক্রেমার বলেন, ‘আমি ও ব্রেন্ডন অনেক আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার সঙ্গে আবার মাঠে থাকতে পারা ও তাকে রান করতে দেখাটা দারুণ ব্যাপার। তাকে ব্যাট করতে দেখা, একসঙ্গে মাঠে নামা, যেভাবে সে যোগাযোগ করে মাঠে… সবকিছুই চমৎকার, একসঙ্গে অনেক ক্রিকেট আমরা খেলেছি। তার মতো একজনকে পাশে পাওয়াটা আমাকেও সহায়তা করেছে।’