গিলের কাছে সিরিজ ড্র করাই বড় অর্জন হবে

ছবি: ফাইল ছবি

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ভারতের শুরুটা ভালো হলেও হেডিংলিতে টেস্ট হারতে হয়েছিল। প্রথম টেস্টের বেশিরভাগ সময় দাপট দেখালেও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। শেষের দিনে বাজবল ক্রিকেট খেলে সিরিজে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে এজবাস্টন টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। গিলের ব্যাটে বুমরাহকে ছাড়াই অনায়াসে জয় পায় ভারত। ফলে সিরিজে সমতা ফেরে।
কাছে গিয়ে উইকেট দেখার অধিকার গম্ভীরের আছে: গিল
২৩ ঘন্টা আগে
লর্ডসে প্রায় জিতেই গিয়েছিল ভারত। তবে শেষের রোমাঞ্চে জয়টা পাওয়া হয়নি তাদের। রবীন্দ্র জাদেজা, বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজদের ওমন ব্যাটিংয়ের পরও ২২ রানে হারে তারা। ম্যানচেস্টারেও হারের শঙ্কায় ছিল ভারত। তবে গিল, জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটে পাঁচ সেশন সামলে শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সফরকারীরা। সিরিজে এখনো ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড।

৩১ জুলাই ওভালে শুরু হচ্ছে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট। ইংল্যান্ড থেকে সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরতে চাইলে ওভালে জেতার বিকল্প নেই ভারতের সামনে। গিলও মনে করেন, এমন একটা তরুণ দল নিয়ে শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করতে পারলে ভারতের জন্য এটা বড় অর্জনই হবে। সেই সঙ্গে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক মনে করিয়ে দিলেন, স্কোর কার্ডে সবসময় সবকিছু ফুটে উঠে না।
ওভালের বৃষ্টি ও ভারতের বিপর্যয় সামলে ৩১৪৯ দিন পর নায়ারের হাফ সেঞ্চুরি
১০ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘খুবই উল্লেখযোগ্য হবে (সিরিজ ড্রয়ের অর্জন)। যে ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলেছি, কখনও কখনও কোনো সিরিজের স্কোরকার্ড, এই সিরিজে আমাদের অবস্থান যেমন, এসবে সবকিছু ফুটে ওঠে না। প্রতিটি ম্যাচেই চার দিন শেষেও বোঝা কঠিন ছিল কোন দল জিততে চলেছে। তুলনামূলক তরুণ দল নিয়ে ভারতের বাইরে এসে চার টেস্ট ধরে আমরা এটা করতে পেরেছি। এখন শেষ পর্যন্ত সিরিজ সমতায় শেষ করতে পারলে আমাদের জন্য তা হবে বড় অর্জন।’
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র পাঁচটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে গিলের। এ ছাড়া আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টানা দুই মৌসুমে। বিদেশের মাটিতে ব্যাটিংয়ের ভালো অভিজ্ঞতা না থাকলেও ইংল্যান্ড সফরে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রথম ৪ টেস্টে ৪ সেঞ্চুরিতে করেছেন সিরিজের সবচেয়ে বেশি ৭২২ রান। গিল জানান, সিরিজটা তাঁর জন্য শেখার বড় একটা সুযোগ ছিল।
ভারতের অধিনায়ক বলেন, ‘এই সিরিজটা আমার জন্য শেখার বড় সুযোগ ছিল। অনেক কিছু আছে, যা আপনি শুধু অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই শিখতে পারেন। এই চারটা ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আশা করছি, শেষটা আমরা ভালোভাবেই শেষ করতে পারব।’