হ্যাজেলউডের তোপে তিনদিনেই জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া

ছবি: ৪৩ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন হ্যাজেলউড, ফাইল ফটো

প্রথম দুই দিনে দুই দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তাপ ছড়ায়। তবে তৃতীয় দিন থেকে স্পষ্ট ভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই এগিয়ে গিয়ে বড় জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। ফলে টানা দুটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা দলটি নতুন আসরের যাত্রা শুরু করল জয় দিয়ে।
গ্রেনাডায় ফিরতে পারেন স্মিথ
৫৮ মিনিট আগে
চার উইকেটে ৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ৩১০ রান। যেখানে ট্রাভিস হেড, বেউ ওয়েবস্টার ও অ্যালেক্স ক্যারি হাফ সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ইনিংসে ১০ রানে এগিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লক্ষ্য দেয়া হয় ৩০১ রানের। তবে জবাবে তারা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪১ রানেই।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পেছনে বড় অবদান জশ হ্যাজেলউডের। দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনি নেন পাঁচ উইকেট। এটি টেস্টে তার ১৩তম পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি। শুরুতে কিছুটা খরুচে হলেও পরে স্পেলে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন এই পেসার।

দিনের শুরুতে চার উইকেটে ৯২ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে হেড ও ওয়েবস্টার যোগ করেন ১০২ রান। ম্যাচে দুই দলের হয়ে এটিই একমাত্র শতরানের জুটি। দুজনকেই পরপর ফিরিয়ে দেন শামার জোসেফ।
হোল্ডস্টকের টিভি আম্পায়ারিং, স্যামির ‘সন্দেহ’ এবং স্টার্কের স্বীকারোক্তি
২৭ জুন ২৫
৯৫ বলে ৬১ রান করা হেডকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন শামার। এর ঠিক ১০ ওভার পর ওয়েবস্টারকে হাফ ভলিতে ফেরান শামার। তার বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন এই অলরাউন্ডার। এরপর অজিদের ইনিংস আরও এগিয়ে নিয়ে যান অ্যালেক্স ক্যারি।
মাত্র ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেয়া এই কিপার-ব্যাটার করেন ৬৫ রান। রস্টন চেজের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তার ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়ার রান তিনশ ছাড়ায়। লোয়ার অর্ডার থেকে আসে কিছু অতিরিক্ত রান। মিচেল স্টার্ক ১৬, নাথান লায়ন অপরাজিত ১৩ এবং হ্যাজেলউড করেন ১২ রান। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৮৭ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নেন শামার। আলজারি জোসেফ নেন দুই উইকেট।
জবাবে শুরুতেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন ক্যাম্পবেল ও কেসি কার্টি কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও হ্যাজেলউডের স্পেলে কার্যত ভেঙে পড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৪৭ থেকে তারা পরবর্তী ৩৯ রানে হারায় ৭ উইকেট।
শেষদিকে শামার জোসেফ ও জাস্টিন গ্রেভস গড়েন ৫১ রানের জুটি, যা ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা জোসেফ করেন ২২ বলে ৪৪ রান। শেষ ওভারে তার উইকেট হারিয়েই শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ৫৩ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রেভস। দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ট্রাভিস হেড।