বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে আইসিসির মাসসেরা ওয়াসিম

ছবি: মোহাম্মদ ওয়াসিম, আইসিসি

বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ওয়াসিম। তিনি তিন ম্যাচে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৫ রান করেছিলেন। আর তাতেই সিরিজ সেরার পুরষ্কার উঠেছিল তার হাতে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তার ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংসে ভর করেই ২০৬ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে সমতা ফিরিয়েছিল আরব আমিরাত।
বাংলাদেশকে উড়িয়ে আইসিসির মাস সেরার মনোনয়ন পেলেন ওয়াসিম
৩ জুন ২৫
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসির মাসসেরা হলেন ওয়াসিম। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়াসিমই প্রথম হিসেবে দুইবার মাসসেরার পুরষ্কার পেয়েছেন। এর আগে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ওয়াসিম প্রথমবার মাসসেরা হয়েছিলেন ২০২৪ সালের এপ্রিলে।

এদিকে স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন আইসিসি মেনস ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ লিগ ২–এ ধারাবাহিকভাবে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করেন। মে মাসে পাঁচটি ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ১০৭.৮৭ স্ট্রাইক রেটে ২৩৩ রান করেছেন। তার গড় ছিল ৫৮.২৫। পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ১০ উইকেট, ইকোনমি রেট ৫.০৮।
সিয়ার্স-মুজারাবানিকে টপকে এপ্রিলের মাসসেরা মিরাজ
১৪ মে ২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও তার সেরা পারফরম্যান্স ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। উত্রেখটে নিজের চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে স্কটল্যান্ডকে পৌঁছে দেন ৩৮০ রানে, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। পরে বল হাতে ৫৫ রান খরচায় চার উইকেট নিয়ে ১৪৫ রানের বড় জয় এনে দেন দলকে। এমন পারফরম্যান্সে অবশ্য ওয়াসিমকে টেক্কা দিতে পারেননি তিনি।
আর যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমারও দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন এই মাসে। চারটি ওয়ানডেতে ৬৭ গড়ে ২০১ রান করেন। বল হাতে শিকার করেন ৯ উইকেট। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স আসে ওমানের বিপক্ষে, যেখানে তিনি পাঁচ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি করেন ৬৮ রান।
আমেরিকান ক্রিকেটার হিসেবে প্রথমবারের মতো কোনো ওয়ানডে ম্যাচে ফিফটি ও পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি। মিলিন্দ এরপর কানাডার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন, ৬৭ বলে অপরাজিত ১১৫ রান করেন ১২ চার ও পাঁচটি ছক্কায়। তার এই ইনিংস যুক্তরাষ্ট্রকে বড় স্কোর গড়তে সাহায্য করে।