পান্তের সামর্থ্য নিয়ে কখনই সন্দেহ ছিল না: জহির

ছবি: বিসিসিআই

ভারতের বিধ্বংসী ব্যাটারদের অন্যতম একজন পান্ত। আইপিএলেও ব্যাট হাতে সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন প্রায়শই। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের চলতি আসরের মেগা নিলামের আগে তাকে ছেড়ে দেয় দিল্লি। যদিও তাকে ধরেই রাখতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু পান্তই নিজের নাম মেগা নিলামে দিতে চেয়েছিলেন। নিশ্চিতভাবেই পাহাড়সম প্রত্যাশা নিয়ে ২৭ কোটি রুপিতে পান্তকে দলে টেনেছিল লক্ষ্ণৌ।
সেঞ্চুরি, ডিগবাজি ও ম্যাচ হারের পর জরিমানাও গুনলেন পান্ত
২৮ মে ২৫
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ ছক্কা ও ১১ চারে ৬১ বলে ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়ার পরও ১৪ ম্যাচে ২৪.৪৫ গড় ও ১৩৩.১৬ স্ট্রাইক রেটে ২৬৯ রান নিয়ে মৌসুম শেষ করেছেন পান্ত। তাঁর চেয়ে বেশি রান করেছেন নিকোলাস পুরান, মিচেল মার্শ, এইডেন মার্করাম ও আয়ুশ বাদোনি। লক্ষ্ণৌর আশায় যে গুঁড়েবালি হয়েছে সেটা অনুমেয়ভাবে বলাই যায়। যদিও পান্তের হয়ে ব্যাট ধরেছেন জহির।

লক্ষ্ণৌর মেন্টর জহির বলেন, ‘দেখুন—নেতা হিসেবে সে দারুণ। পুরো মৌসুম জুড়ে এটা আমাদের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। এমন মৌসুমের ফলে ব্যাট হাতে যে ফর্মটা ছিল সেটা তাঁর জন্য একটা শেখার মতো অভিজ্ঞতা। কিন্তু তাঁর দক্ষতা ও সামর্থ্য নিয়ে কখনই সন্দেহ ছিল না। আমরা এটাকে এভাবেই দেখেছি। আমরা খুব খুশি যে সে দারুণভাবে শেষ করেছে। তাঁর সামর্থ্যই এমন—এভাবেই সে ম্যাচে প্রভাব রাখতে পারে।’
মার্শের সেঞ্চুরিতে টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাটকে হারাল লক্ষ্ণৌ
২৩ মে ২৫
আইপিএলের চলতি আসরে লক্ষ্ণৌর শুরুটা হয়েছিল দারুণভাবে। নিজেদের খেলা প্রথম ৬ ম্যাচের চারটিতেই জয় পেয়েছিল তারা। তবে পরের ৮ ম্যাচে দুটির বেশি জয়ের দেখা পায়নি লক্ষ্ণৌ। পুরো মৌসুম জুড়েই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। অথচ চলতি আসরে লক্ষ্ণৌর হয়ে ৬০০—এর বেশি রান করেছেন মার্শ, ৫০০—এর বেশি পুরান এবং ৪০০—এর বেশি রান করেছেন মার্করাম।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার মিলে প্রত্যাশা মেটালেও দল হিসেবে ভালো করতে পারেনি তারা। ১৪ ম্যাচের মাত্র ৬টিতে জিতে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে লক্ষ্ণৌকে। এমনকি শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২২৭ রানের পুঁজি নিয়েও জিততে পারেননি তারা। ম্যাচ শেষে পান্ত জানান, টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জিততে হলে ৪০ ওভারই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এ ছাড়া ক্রিকেটারদের ইনজুরির বিষয়টিও সামনে এনেছেন লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে পান্ত বলেন, ‘যেভাবেই হোক আপনাকে ৪০ ওভার ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ ওভার নিশ্চিতভাবে আপনাকে বাঁচাবে না এবং আমাদের গল্পটাও এমনই। টুর্নামেন্টের আগে আমাদের অনেক ইনজুরি সংক্রান্ত উদ্বেগ ছিল—সেটাই মৌসুম জুড়ে আমাদের ক্ষতি করেছে।’