‘আমরা সুপারস্টার কিনি না, সুপারস্টার তৈরি করি’

ছবি: বিসিসিআই

রাজস্থানে খেলে পরবর্তীতে ভারতের ক্রিকেটার তারকা বনে গেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। আইপিএলের প্রথম দুই মৌসুমেই রাজস্থানের হয়ে খেলেছেন তিনি। বর্তমানে লম্বা সময় ধরে একই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন সাঞ্জু স্যামসন, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেলরা। তারকা পরিচিতি পেয়েছেন রাজস্থানের জার্সিতে খেলেই। এসবের বাইরেও নামিদামি তারকা ক্রিকেটাররা খেলেছেন তাদের হয়ে।
১১ ছক্কায় ৩৫ বলে সেঞ্চুরি, সূর্যবংশীর বিশ্ব রেকর্ডে রাজস্থানের জয়
২৯ এপ্রিল ২৫
আইপিএলের সবশেষ আসরে ট্রেন্ট বোল্ট, আভেষ খান, জস বাটলারের মতো ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেয় রাজস্থান। তাদের বদলি হিসেবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, জফরা আর্চারদের দলে টানলেও সাফল্য মেলেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে বাটলার-বোল্টের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছেড়ে দিয়ে দিয়ে তবে ভুল করেছে রাজস্থান? এমন প্রশ্নে অবশ্য খুব বেশি মাতলেন না দলটির ফিল্ডিং কোচ। বরং সূর্যবংশীর উদাহরণ টানলেন ইয়াগনিক।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে নিজের খেলা প্রথম বলেই ছক্কা মেরে বাজিমাত করেন সূর্যবংশী। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২০ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। পরবর্তীতে গুজরাটের বিপক্ষে ১১ ছক্কায় ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন তিনি। ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম এবং সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেন সূর্যবংশী।
চোট নিয়ে বল করে টুর্নামেন্টই শেষ সন্দীপের
১৬ ঘন্টা আগে
১৪ বছর বয়সী ব্যাটারের উদাহরণ টেনে ইয়াগনিক জানান, রাজস্থান সুপারস্টার কেনে না বরং সুপারস্টার তৈরি করে। এ প্রসঙ্গে রাজস্থানের ফিল্ডিং কোচ বলেন, ‘বছরের পর পর যখন আমাদের দলে কোনো নতুন খেলোয়াড় এসেছে তারা তারকা হয়ে আসেনি। তারা আমাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তারকা হয়েছেন। বর্তমান দল নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তারা একদিন তারকা হবে। আমরা তাদের তারকা বানাবো। আমরা সুপারস্টার কিনি না, আমরা সুপারস্টার তৈরি করি। এটাই আমাদের ট্যাগলাইন।’
‘উদাহরণ হিসেবে বৈভব সূর্যবংশীর কথা বলতে পারেন। সে যেভাবে ব্যাটিং করে সেটা নিয়ে সবাই খুশি এবং আবেগপ্রবণ। সুতরাং, সামনের বছরগুলোতে তার মতো ক্রিকেটাররা তারকা হবে। এরকম জিনিস দেখার জন্য আমাদের সময়ও আসবে। আমরা যখন তারা আমাদের থাকবে না তখন আমাদের ভুলে গিয়ে সামনে এগোতে হবে। এখন আমাদের বৈভব, যশস্বী জয়সাওয়াল, সাঞ্জু স্যামসন আমাদের অধিনায়ক। আমরা তাদের নিয়েই এগোবো এবং প্রমাণ করবো আমাদের দলের জেতার সামর্থ্য আছে।’
আইপিএলের চলতি আসরটা একেবারেই ভালো যায়নি রাজস্থানের। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচের আটটিতে হেরেছেন পরাগ-স্যামসনরা। ফলে এখনো টুর্নামেন্টে নিজেদের তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। যার ফলে শেষের তিনটি ম্যাচ রাজস্থানের জন্য কেবলই আনুষ্ঠানিকতার।