শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রঙিন দিন

ছবি: গলে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত (বামে) ও মুশফিকুর রহিম (ডানে), ক্রিকফ্রেঞ্জি

গলে টস জিতলে ব্যাটিং নেবেন টেস্টের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে শান্তর কথায় সেটা স্পষ্ট ছিল। টস জিতে ব্যাটিং নিতে খুব বেশি সময় নেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। উইকেট শুকনো এবং শেষে বোলিংয়ের চিন্তা থেকে ব্যাটিং নিলেও শুরুটা একদমই ভালো হয়নি সফরকারীদের। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে জাতীয় দলে এলেও এখনো নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি বিজয়। গলেও পারলেন না ভালো শুরু করতে।
দ্বিতীয় দিনে অন্তত দুই সেশন জিততে চায় বাংলাদেশ
৪ ঘন্টা আগে
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে কিপার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়েছেন বিজয়। ১০ বল খেলেও রানের খুলতে পারেননি তিনি। বিজয়কে হারানোর পর শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সাদমান ও মুমিনুল। তাদের দুজনের ব্যাটে পরের প্রায় এক ঘণ্টা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সাদমানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন থারিন্দু রত্নায়েকে।
ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন। বাংলাদেশের ওপেনার আউট হয়েছেন ৫৩ বলে ১৪ রান করে। ভেঙেছে মুমিনুলের সঙ্গে ৬৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুমিনুল। ব্যক্তিগত ২১ রানের সময় জীবন পাওয়া বাঁহাতি ব্যাটার আউট হয়েছেন ২৯ রানে। থারিন্দুর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপেই ক্যাচ দিয়েছেন ধনঞ্জয়ার হাতে।

৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন শান্ত ও মুশফিক। দিনের প্রথম সেশনে সফরকারীদের আর কোন উইকেট হারাতে দেননি। তারা দুজনে মিলে দাপট দেখিয়েছেন দ্বিতীয় সেশনে। যেখানে কোন উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান যোগ করেন। পাশাপাশি শান্ত ১০৭ বলে এবং মুশফিক হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৮৪ বলে। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটারই।
শান্তর কাছে ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ চান মুশফিক
৪ ঘন্টা আগে
দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলে সুইপ করে দুই রান নিয়ে শান্ত সেঞ্চুরি করেছেন ২০২ বলে। ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাঁহাতি। ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলে এসে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন শান্ত। একটু পর মুশফিকের সঙ্গে দুইশ রানের জুটি পূর্ণ করেছেন। চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় দুইশ রানের জুটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যা সর্বোচ্চ।
শেষ বিকেলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরেক ব্যাটার মুশফিক। শ্রীলঙ্কাকে পেলেই জ্বলে উঠেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। গলেও সেটার প্রমাণ রেখেছেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। আসিথার বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৭৬ বলে ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি, গলে যা দ্বিতীয়। শেষ বিকেলে কোন উইকেট না হারিয়ে শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক অপরাজিত আছেন ১০৫ রানে। তাদের দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন আছে ২৪৭ রানে। লঙ্কানদের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন থারিন্দু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)— ২৯২/৩ (৯০ ওভার) (সাদমান ১৪, বিজয় ০, মুমিনুল ২৯, শান্ত ১৩৬*, মুশফিক ১০৫*; থারিন্দু ২/১২৪)