পেশোয়ারের হুঙ্কার

ছবি:

পেশোয়ারের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১৭৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এক উমাইদ আসিফে ভেঙ্গে পড়ে ইসলামাবাদের টপ অর্ডার।
এক স্পেলে তিন ওভার বল করে চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন এই তরুন পেসার। ব্যাটিং পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
চ্যাডউইক ওয়ালটন ছাড়া কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। একে একে লুক রঞ্চি, আসিফ আলী, হুসাইন তালাত ও চ্যাডউইক ওয়ালটনকে বিদায় করে পেশোয়ারর কাজ সহজ করে দেন তিনি।
ইনি???সের শুরুর ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মিসবাহ বিহীন পেশোয়ার। মিডেল ওভারে আরেক তরুন ইবতিসাম শেইখের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগোতে থাকে।
ডেথ ওভারে ফাহিম আশরাফ ৩০ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি ইসলামাবাদের পরাজয়ের ব্যবধান করামতে পেরেছে। শেষ পর্যন্ত ১৪২/৯ রানে থামে ইসলামাবাদের ইনিংস। ৩৪ রানের জয়ে বল হাতে পেশোয়ারের নায়ক ছিলেন আসিফ ও ইবতিসাম।

এর আগে আগে ব্যাট করে কামরান আকমলের বিধ্বংসী ইনিংসের পর তামিম ইকবালের রানে ফেরায় বড় স্কোরের ভীত পায় পেশোয়ার। সেখান থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬/৬ রান তুলতে সক্ষম হয় ড্যারেন স্যামির দল।
সর্বোচ্চ ৫৩ রান (৩৩ বলে) আসে আকমলের ব্যাট থেকে। ২৯ বল খেলে ৩৯ রান করে আউট হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। অবদান রেখেছেন আরেক বিদেশি ডোয়াইন স্মিথ ও পাক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ।
দুইজনই ৩০ রান যোগ করেছেন। ইসলামাবাদের বোলাররা শুরুর দিকে রান খরচা করলেও শেষের দিকে অপেক্ষাকৃত ভালো বোলিং করেছিল। বিশেষ করে মোহাম্মদ সামি ও রুম্মান রাইদ ছিলেন দুই মিতব্যয়ী বোলার। তবে সর্বোচ্চ দুই উইকেট এসেছে ফাহিম আশরাফের বোলিংয়ে। উইকেট পেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও সামিট প্যাটেলও।
পেশোয়ার একাদশঃ
তামিম ইকবাল, কামরান আকমল, ড্যারেন স্যামি, ডোয়াইন স্মিথ, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, উমাইদ আসিফ, ক্রিস জর্ডান, ওয়াহাব রিয়াজ, ইবতিসাম শেইখ, মোহাম্মদ আজগর।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডঃ
লুক রঞ্চি, চ্যাডউইক ওয়ালটন, আসিফ আলী, ইফতিখার আহমেদ, হুসাইন তালাত, সামিত প্যাটেল, আন্দ্রে রাসেল, শাদাব খান, ফাহিম আশরাফ, রুমমান রায়স, মোহাম্মদ সামি।