অলরাউন্ডার সৌম্যে চ্যাম্পিয়নদের হার

ছবি:

সৌম্য সরকারের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে দাঁড়াতেও পারল না গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্যাটে বলে সমান তালে পারফর্ম করে গাজী গ্রুপকে মাটিতে নামিয়ে আনেন তিনি।
১৭৭ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ১১ ওভার হাতে রেখেই জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। ওপেনার সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৮৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। শুরুতে ধরে খেললেও শেষের দিকে হাল খুলে রান বাড়িয়েছেন তিনি।
১২২ বল খেলে ৭টি ও ৪টি ছয়ে সাজিয়েছেন ম্যাচ জয়ী ইনিংসটি। সৌম্যকে সঙ্গ দিয়েছে রিফাত উল্লাহ। ৮৮ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শুরুতে দুই উইকেট হারানোর পর চাপের মুখে রিফাত- সৌম্য জুটি গড়ে দলকে বিপদ মুক্ত করে।
এর আগে মাত্র ১৭৬ রানে অল আউট হয়েছে প্রথমে ব্যাট করা গাজী গ্রুপ। শাহবাজ চৌহান-সৌম্য সরকারদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি গাজী গ্রুপের টপ অর্ডার। শাহবাজ ও জাতীয় দলের তারকা সৌম্য সরকার দুই প্রান্ত থেকে গাজী গ্রুপের উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফেরান।

শাহবাজ চৌহান তিনটি ও সৌম্য দুইটি উইকেট শিকার করেছেন। মিডেল ওভার এসে দুই উইকেট নিয়ে গাজীর ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নামান অভিজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাক। উইকেটের দেখা পেয়েছেন পেসার আল আমিন হোসাইনও। শেষের দিকে এসে দুই উইকেট আদায় করে নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।
গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার মেহেদী হাসান। তবে দলের বিপদে মান বাঁচিয়েছেন ভারতীয় রিক্রুট রজত ভাটিয়া। শেষের দিকে আবু হায়দার রনির সাথে জুটি গড়ে গাজী গ্রুপের স্কোর দেড়শ ছাড়াতে সাহায্য করেন তিনি। ৪৮ বলে ৩১ রান করেন রজত ভাটিয়া।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স-
মোঃ জহুরুল ইসলাম ওমী, নাদিফ চৌধুরী, আবু হায়দার রনি, আসিফ আহমেদ রতুল, জাকার আলী অনিক, নাঈম হাসান, মো। রাজীবুল ইসলাম, শফিউল হায়াত হরতাল, আবু নাসের, রজত ভাটিয়া, মেহেদী হাসান।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব-
খান আব্দুর রাজ্জাক রাজ, শাহরিয়ার নাফীস আহমেদ, সৌম্য সরকার, মোঃ আল আমিন হোসেন, মোঃ শফিউল ইসলাম, ধীমান ঘোষ, মোঃ সালমান হোসেন ইমন, মোঃ শাহবাজ চৌহান, আজমির আহমেদ, মোঃ জাহিদ জাভেদ, রিফাত উল্লাহ।