চলতি এশিয়া কাপে বল হাতে সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে মুস্তাফিজের। হংকং চায়নার বিপক্ষে উইকেট শূন্য থাকলেও পরের সবগুলো ম্যাচেই নিয়েছেন উইকেট। বিশেষ করে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিলেন দুর্দান্ত। প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চেপে ধরার পাশাপাশি ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটা উইকেট। এমনকি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গেও তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।
এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার ৭ উইকেট। বাংলাদেশের পেসারের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে দলের জয়-পরাজয়ও। চলতি বছরে মুস্তাফিজ খেলেননি এমন ৮ ম্যাচের সবকটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালে যেতে বাঁহাতি পেসারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন সবাই। মেহেদীর চাওয়া মুস্তাফিজ যেন এভাবেই ডেলিভারি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এটা তো বললাম—মাশাআল্লাহ কারও যেন নজর না লাগে। মুস্তাফিজ যেন এভাবেই ডেলিভারি করতে পারে।’
এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত মাইলফলক ছোঁয়ারও সুযোগ থাকছে মুস্তাফিজের সামনে। ১৪২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১১৭ ম্যাচে বাঁহাতি পেসারের উইকেটের সংখ্যা ১৪৯টি। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর সমান উইকেট আছে কেবল সাকিবের। ১২৯ ম্যাচ খেলে ১৪৯ উইকেট নিয়েছিলেন গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়া এই অলরাউন্ডার।
সুপার ফোরে এখনো দুইটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। চোটে না পড়লে এশিয়া কাপেই সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন মুস্তাফিজ। এ ছাড়া অবসর নেয়ায় ১৫০ উইকেট নিয়ে ইশ সোধি ও ১৬৪ উইকেট নেয়া টিম সাউদিকেও ছাড়িয়ে যেতে পারবেন তিনি। ১৭৩ উেইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। মেহেদীর বিশ্বাস, বিশ্বের অনেককে ছাড়িয়ে যাবেন ফিজ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সাকিব ভাই কেন টি-টোয়েন্টিতে সে বিশ্বের আরও অনেক বোলারকে ছাড়িয়ে যাবে।’
মাঠের ভেতরের ও বাইরের মুস্তাফিজকে নিয়ে মেহেদী বলেন, ‘ড্রেসিংরুমের আর মাঠের ভেতরের মুস্তাফিজ একেবারে ভিন্ন। মুস্তাফিজ যখন মাঠের ভেতরে ঢুকে তখন সে পুরোপুরি আলাদা। মুস্তাফিজের যে অভিজ্ঞতা সেটা তো আপনারা দেখতেছেন। সে যেভাবে ডেলিভারি করছে সেটা অবিশ্বাস্য।’