বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত

বাংলাদেশ
বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত
ফাইল ছবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর মনোনীত হয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ফর্ম জমা দিয়েছিলেন সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা। অ্যাডহক কমিটি থেকে যেসব জেলা ক্রীড়া সংস্থা কাউন্সিলরের জন্য মনোনয়ন দেয়নি তাদের আবেদন বাতিল করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিসিবি সভাপতির সেই চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

সবকিছু ঠিক থাকলে বিসিবির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ অক্টোবর। বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাছে কাউন্সিলরদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষরে বিসিবিতে ৫৩টি ফর্ম জমা পড়েছে। বেশ কয়েকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটির বাইরে গিয়ে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) ঘোষিত অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর না দেয়ায় সেগুলো বাতিল করেছেন বিসিবি সভাপতি। পরবর্তীতে নিজে স্বাক্ষর করে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়েছেন বুলবুল। এ ছাড়া জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণের বাধ্যবাধকতা আছে বলে যুবও ক্রীড়া সচিবকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।

কাউন্সিলর মনোনয়নের সময় বাড়ানোর প্রতিবাদ করেছেন তামিম ইকবালসহ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া কজন। শুধু তাই নয় বুলবুলের বিরুদ্ধে সরকারি হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও করেছেন তারা। এদিকে চিঠিতে বুলবুল নিজে স্বাক্ষর করার প্রতিবাদে ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রীট মামলা দায়ের করেছেন ৪ সংগঠক।

যেখানে টাঙ্গাইলের এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন, লক্ষীপুরের মাইনুদ্দিন চৌধুরী, রাজবাড়ীর এ বিএম মুঞ্জুরুল আলম দুলালের সঙ্গে আছেন গোপালগঞ্জের জসিমউদ্দিন খসরু। হাইকোর্টের রীটের প্রেক্ষিতে বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেছে আদালত। এ ছাড়া বুলবুলের চিঠিতে নতুন কাউন্সিলর চাওয়া অবৈধ নয় সেটার জবাব দিতে তাকে ১০ দিনের সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ প্রসঙ্গে এড. এ কে এম আলী ইমাম তপন বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি গঠণতন্ত্র পরিপন্থীভাবে পুনরায় কাউন্সিলর প্রেরণে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। বিসিবির গঠণতন্ত্রের কোথাও নেই এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণ করতে হবে। অথচ উনি চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন জেলাও বিভাগে এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর প্রেরণে বাধ্যবাধকতা আছে। আদালতের আদেশে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলা এবং বিভাগ থেকে যেসব কাউন্সিলরদের নাম জমা পড়েছে, তাদের সবার কাউন্সিলরশিপ বৈধতা পেলো।’

৪ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সেটা দুদিন পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। নতুন সূচিতে ৬ অক্টোবর হবে বিসিবির নির্বাচন। তার আগে ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে কাউন্সিলরদের তালিকা। হাইকোর্টের রীট অনুযায়ী, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসা কাউন্সিলরদের নাম থাকতে পারে তালিকায়। যদিও পরবর্তী সময়ে কী হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এমনকি বিসিবির নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা সেটার নিশ্চয়তা নেই।

আরো পড়ুন: বিসিবি নির্বাচন