দেশি কোচদের টোটকাতেই জিএসএলে সফল খালেদ

ফাইল ছবি
গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। পরের ম্যাচে বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়ন হোবার্ট হারিকেন্সের সঙ্গে ৪ উইকেট নেন ২৬ রানে। সব মিলিয়ে ৪ ম্যাচে খালেদ নিয়েছেন ১১ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের পর স্থানীয় কোচদের কৃতিত্ব দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। খালেদ জানান, জিএসএলে খেলার সময় নাজমুল হোসেন ও তালহা জুবায়েরের মতো কোচদের কাছ থেকে টোটকা নিতেন।

promotional_ad

বাংলাদেশের টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য হলেও খুব বেশি সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়ে ওঠে না খালেদের। টেস্ট খেললেও টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে সুযোগ মেলে না ডানহাতি এই পেসারের। জাতীয় দলের হয়ে দুইটা ওয়ানডে এবং একটা টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তবে সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন খালেদ।


আরো পড়ুন

বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার মতো দল: খালেদ

২১ ঘন্টা আগে
খালেদ আহমেদ কথা বলছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে

চিটাগং কিংসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছিলেন। সেই সময় চিটাগংয়ের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন শন টেইট। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসারের সঙ্গে নিজের বোলিং নিয়ে তখন কাজ করেছিলেন খালেদ। সেই টেইটের সঙ্গে কাজ করছেন জাতীয় দলের জার্সিতেও। তবে জিএসএলের সময় টেইট জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় স্থানীয় কোচ নাজমুল ও তালহা জুবায়েরের সঙ্গে কাজ করেছেন খালেদ। যদিও সরাসরি মাঠে কাজ করতে পারেননি।


promotional_ad

জিএসএল খেলার সময় তাদের সঙ্গে ফোনে তাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। কোচদের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে খালেদ বলেন, ‘শন টেইটের সঙ্গে কথা হয়। সে একটা কথাই বলে, যা আমি বিপিএলের সময়েও বলেছি। সে আমাকে সিম্পল খেলতে বলেছেন এবং বিভ্রান্ত না হতে বলেছেন। কারণ বিভ্রান্ত হলে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। সে আমাকে যতটা সম্ভব সিম্পল থাকতে বলেছেন।’


আরো পড়ুন

আইপিএল, বিগ ব্যাশ দেখে উদ্ভাবনী শট শেখেন আরিফুল

২ ঘন্টা আগে
৩৩ বলে ৪৫ রান করেন আরিফুল ইসলাম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

‘এছাড়া আমাদের স্থানীয় কোচ বিশেষ করে নাজমুল ভাই ও তালহা ভাইয়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়। খেলার আগের দিনও নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কী করলে ভালো হয়। যেহেতু আমাদের কোনো বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ ছিল না, তাই আমি শন টেইটকে পাইনি। তখন আমি নাজমুল ভাইকে ফোন করেছিলাম এবং সেও একই কথা বলেছিলেন—প্রতিটি ওভারে কীভাবে খেলায় ফেরা যায়, সেই চিন্তা করতে।’


জিএসএলের গত মৌসুমে খেলার সুযোগ হয়নি খালেদের। প্রথমবার রংপুরের হয়ে সুযোগ পেয়েই সেটা কাজে লাগিয়েছেন। হোবার্ট, গায়ানা, দুবাই ক্যাপিটালস, সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের মতো বৈশ্বিক দলের সঙ্গে পারফর্ম করতে পারায় খুশি ডানহাতি এই পেসার। সবাইকে নিজের সামর্থ্য দেখাতে পারায় ভালো লাগছে তাঁর।


খালেদ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা বলতে, এটা ভালো একটা সুযোগ ছিল। যেহেতু এটা গ্লোবাল একটা টুর্নামেন্ট ছিল এবং বিভিন্ন দেশের দল খেলতে গিয়েছিল, পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি ছিল। আমি বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলাম। আমরা সব দলের সাথেই খেলেছি। আমার ভালো লেগেছে যে সবাই আমার খেলা দেখতে পেরেছে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো পারফর্ম করার। কারণ এখানে ভালো করলে একটি পরিচিতি পাওয়া যাবে এবং সবাই দেখবে যে আমি ভালো খেলছি।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball