টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বাংলাদেশের ইতিহাস

ছবি: ব্যাটিংয়ের সময় তাওহীদ হৃদয় ও তানজিদ হাসান তামিম

যদিও সেটা হতে দেননি শেখ মেহেদী ও তানজিদ হাসান তামিমরা। মেহেদীর ঘূর্ণিতে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ১৩২ রানে। শেষ ওভারে শরিফুল ইসলাম ২২ রান খরচ না করলে সেই রান আরও কমই থাকতে পারত। জবাবে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন লিটন ও তানজিদ।
কলম্বোতে খেলবেন মেহেদী, আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন লিটন
১ ঘন্টা আগে
লিটন ৩২ রান করে আউট হলেও তানজিদ তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে তাওহীদ হৃদয় দারুণ এক জুটি গড়ে ২২ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের দারুণ জয় এনে দেন। তানজিদ ৪৭ বলে ৭৩ ও হৃদয় ২৫ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর মধ্যে দিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের পূর্ণকালীন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই জয় তুলে নিলেন লিটনও।
এর আগে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে আগে বোলিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন শরিফুল ইসলাম। এই পেসারের প্রথম বলেই ড্রাইভ করে চার মেরে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শুরু করেন পাথুম নিশাঙ্কা। পরের বলেও চার হতে পারত। তবে শামীম পাটোয়ারির দারুণ ফিল্ডিংয়ে কোনো চার হয়নি সেই বলে। ওভারর শেষ বলে কুশল মেন্ডিসকে বিদায় করেন শরিফুল। ৪ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।

মেন্ডিস ফ্লিক করেছিলেন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে। তবে সীমানা পার করতে পারেননি তিনি। ধরা পড়েছেন তাওহীদ হৃদয়ের হাতে। দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে আসেন শেখ মেহেদী। মেহেদী হাসান মিরাজের বদলি হিসেবে খেলা নামা এই স্পিনারের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা। তিনি ফেরেন শূন্য রানে।
১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, বিশ্বাসের কোনো কমতি ছিল না: লিটন
২ ঘন্টা আগে
স্লিপে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। মেহেদীর বলে আউট সাইড এজ হয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন পেরেরা। এরপর নিশাঙ্কা ও দীনেশ চান্দিমালকে একবার করে জীবন দেন তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান। তবে এই জুটিকে টিকতে দেননি মেহেদী। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে মেহেদী আউট করেছেন ৫ বলে ৪ রান করা চান্দিমালকে।
লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কাকেও বোল্ড করে আউট করেন তিনি। আসালাঙ্কা ৩ রান করে ফেরেন। এরপর শেষ ওভার করতে এসে মেহেদী কট অ্যান্ড বোল্ড করেছেন ৪৬ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে। মেহেদীর শেষ ওভারে কোনো রানই নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। মেহেদী ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন। একপ্রান্ত আগলে রেখে শ্রীলঙ্কার রান বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস।
যদিও তাকে ইনিংস বড় করতে দেননি শামীম পাটোয়ারি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে রিভার্স সুইপ করতে যাওয়া মেন্ডিসকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তানজিম সাকিবের ক্যাচ বানিয়েছেন এই স্পিনার। জেফরি ভ্যান্ডারসেকে বিদায় করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসারের বলে জায়গা করে খেলতে গিয়ে মিড অফে তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১৪ বলে ৭ রান করা এই ব্যাটার।
এরপর লঙ্কানদের ইনিংস টানেন দাসুন শানাকা। শেষ পর্যন্ত শানাকা ২৫ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।শরিফুলের করা শেষ ওভার থেকে দুই ছক্কা ও দুই চারে শানাক তুলে নেন ২২ রান। মাহিশ থিকশানা অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ৬ রান করে। ৪ উইকেট নিয়ে মেহেদীই বাংলাদেশের সেরা বোলার। এর বাইরে একটি করে উইকেট নেন শরফুল, মুস্তাফিজ ও শামীম।