হেরে যাওয়ার ভয় না পেয়ে লিটনদের কাছে মেন্ডিসের মতো ব্যাটিং চান মুশতাক

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

রান তাড়ায় পাল্লেকেলে রীতিমতো চার–ছক্কার বৃষ্টি ঝরান পাথুম নিশাঙ্কা ও মেন্ডিস। তাদের দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। একের পর এক চার ছক্কায় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা বল কুড়িয়ে শেষ করতে পারছিলেন না। একপ্রান্ত নিশাঙ্কা যেমন আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেছেন অন্যপ্রান্তে মেন্ডিস হয়ে উঠেছেন আরও বেশি ভয়ঙ্কর। কে কার চেয়ে বেশি চার-ছক্কা মেরে রান তুলবেন সেই প্রতিযোগিতায় যেন নেমেছিলেন।
‘দেশের বাইরের চেয়ে দেশে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল’
২০ ঘন্টা আগে
নিশাঙ্কা ফিরে গেলেও থামেননি মেন্ডিস। তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৩১ বলেই পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ফেরার আগে ৫১ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে ৭৩ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ১০ বল খেলা ব্যাটারদের মধ্যে একমাত্র পারভেজ হোসেন ইমনই মেন্ডিসের চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন। মেন্ডিসের মতো ভালো শুরু পেলেও ইমন থামেন ২২ বলে ৩৮ রান করে।

মুশতাক জানান, মেন্ডিস যেভাবে ব্যাটিং করেন বাংলাদেশের ব্যাটারদেরও এমনটাই করা উচিত। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করেও তা ধরে রাখতে পারিনি। কুশল মেন্ডিস যেটা করে যাচ্ছে, আমাদের ব্যাটসম্যানদেরও তা–ই করা উচিত। ৩০–৪০ করে আউট না হয়ে গিয়ে ইনিংসটাকে বড় করতে হবে।’
বড় ব্যবধানের হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
১০ জুলাই ২৫
সেই সঙ্গে এও পরামর্শ দিয়েছেন, ৩০–৪০ করে আউট না হয়ে ইনিংসটাকে যেন লিটন দাসরা বড় করেন। মুশতাক বলেন, ‘একজন ব্যাটার হিসেবে আপনি যখন মাঠে প্রবেশ করবেন তখন আপনাকে সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে, বড় ইনিংস খেলতে হবে। ধরুণ, আপনি ৩০ রান করেছেন, তাহলে এটাকে ৭০ কিংবা ৮০রানে নিয়ে যেতে হবে। তখনই আপনি খেলাটা শেষ করে আসতে পারবেন অথবা ১৭০/১৮০ রানের পুঁজি দাঁড় করাতে পারবেন।’
সবশেষ কয়েক বছর ধরেই আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলার আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার, অধিনায়ক কিংবা টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে মাঠের ক্রিকেটে সেটার প্রতিফলন নেই একদমই। অনেকের ধারণা, দ্রুত রান তোলার প্রচেষ্টা অল্পতেই আউট হয়ে যাওয়ার ভয় করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মনের মাঝে এমন সংশয়ের কারণেই চাইলেও মেন্ডিসদের মতো করে ব্যাটিং করতে পারেন না লিটন, তানজিদ হাসান তামিম কিংবা তাওহীদ হৃদয়রা।
মুশতাক অবশ্য হেরে যাওয়ার ভয়কে পেছনে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের চাওয়া, মাঠে নেমে যাতে লিটনরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেন। মুশতাক বলেন, ‘আমরা হেরে যাব এমন ভয় নিয়ে ক্রিকেট খেলা যাবে না। আপনাকে মাঠে নামতে হবে এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করতে হবে।’