নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতে চান না নাঈম

ছবি: ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে ৫ উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান, ক্রিকফ্রেঞ্জি

২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল নাঈমের। ১৭ বছর বয়সে সেদিন টেস্ট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এমন অভিষেকের পরও ক্যারিয়ারের প্রথম চার বছরে মাত্র ৭ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে নাঈমের টেস্টের সংখ্যা ১৩, সেটাও শ্রীলঙ্কায় চলমান গল টেস্ট মিলে। দেশের মাটিতে ১০ টেস্ট খেলা ডানহাতি অফ স্পিনার বিদেশে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র তিনটি।
বাংলাদেশের জেতার জন্য যাওয়ার সুযোগ আছে, মনে করেন নাঈম
৫ ঘন্টা আগে
অফ স্পিনার হিসেবে নাঈমের একাদশে সুযোগ পাওয়া একটু কঠিনই। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ২৫ বছর বয়সি স্পিনারকে লড়াই করতে হয় মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে। ব্যাটিং দক্ষতায় বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্টেরও পছন্দের তালিকায় নাঈমের চেয়ে উপরেই আছেন মিরাজ। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স তো দলের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতীয়মান করেছে। গল টেস্টেও নাঈমের খেলার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ।
কদিন আগেই ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়া মিরাজ শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যার পলে গল টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। স্বাভাবিকভাবেই অফ স্পিনার হিসেবে মিরাজের জায়গায় নাঈমকে বেছে নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সুযোগ পেয়েই ১২১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে যা চতুর্থ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয়। এমনকি বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো পেলেন এমন কিছুর স্বাদ। সুযোগ পেয়ে পারফর্ম করলেও বেশিরভাগ সময়ই বাইরে বসে থাকতে হয়।

সকালে বাংলাদেশকে অল আউট করে দুই সেশনে জিততে চায় শ্রীলঙ্কা
৪ ঘন্টা আগে
তবুও নিজেকে দুর্ভাগা মানতে নারাজ তিনি। এ প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, ‘আনলাকি (দুর্ভাগা) বলতে কিছু নাই। যা আল্লাহ্ রিজিকে রাখছে তাই হবে, আলহামদুলিল্লাহ্। আপনার দেখেন সবার তো ক্যারিয়ার একরকম হয় না। স্পোর্টসম্যানদের একেকজনের একেক রকম হয়। আমারটা যেরকম হইসে, আলহামদুলিল্লাহ্।’
গল টেস্টের তৃতীয় দিনেই দীনেশ চান্দিমালের উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম। প্রথম তিন দিনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যাটাররা দাপট দেখানোয় উইকেটে স্পিনারদের জন্য তেমন কিছুই ছিল না। যার ফলে ব্যাটিং নির্ভর পিচ থেকে উইকেট তুলে নেয়া একটু কঠিনই। এমন উইকেটেও নাঈম ৫ উইকেট পেয়েছেন এবং বাংলাদেশও লিড আদায় করে নিয়েছে। একটা জায়গা ধরে বোলিং করার ফলেই সাফল্য পেয়েছেন বলে জানান নাঈম।
ডানহাতি এই অফ স্পিনার বলেন, ‘দেখুন—উইকেটটা আসলে ব্যাটিং বান্ধব। আমরা চেষ্টা করেছি লম্বা সময় ধরে একটা জায়গায়—ভালো জায়গায় বোলিং করার। যখনই রানটা আসবে না...দিনশেষে ক্রিকেট তো রানের খেলা। চাপে পড়ে ব্যাটার তখন অন্য কিছু করতে গেলে ভুল কিছু করবে ওই পরিকল্পনায় বোলিং করেছি।’
গতির বৈচিত্র্য এবং সিম পজিশন পরিবর্তন নিয়ে নাঈম বলেন, ‘শ্রীলঙ্কান বোলাররা স্ট্রাগল করছে। আমি একটা জিনিসই চেষ্টা করেছি সেটা হলো একটা ভালো জায়গায় বোলিং করা। গতির বৈচিত্র এবং সিম পজিশনগুলো পরিবর্তন করে দেখলাম কোনটা ভালো হচ্ছে।’