‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি’

ছবি: ফাইল ছবি

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে নিজের শেষ ২০ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। পরবর্তীতে একই বছর ভারত সফরে গিয়ে কানপুর টেস্টের আগে সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও দেশের মাটিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন তারকা এই অলরাউন্ডার। আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব।
পেরেরা-রাজার ঝড়ে পিএসএলের চ্যাম্পিয়ন রিশাদ-সাকিবদের লাহোর
২৬ মে ২৫
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ভাবনা থাকলেও সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশ দলে। বোলিং অ্যাকশনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় ব্যাটার সাকিবকে বিবেচনা করেনি গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল। তবে বোলিং অ্যাকশন শুধরে আবারও ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব। তবে লাহোরের হয়ে পিএসএলে প্রত্যাশিতভাবে পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। দুই ম্যাচে ব্যাটিং করলেও রানের খাতা খোলা হয়নি তাঁর। বল হাতে নিতে পেরেছেন মাত্র একটি উইকেট।

কদিন আগেই জিও নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব নিশ্চিত করেছেন, আগামী কয়েক মাস ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করবেন। ইফতেখার জানিয়েছেন, সাকিব সবসময়ই নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় থাকেন। তবে কেবল কয়েকটি ম্যাচ খেলায় এখনই জাতীয় দলে ফেরার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না তিনি। পাশাপাশি কবে নাগাদ সাকিব ফিরবেন সেটাও বলতে পারেননি ইফতেখার। তবে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সাকিবের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ইফতেখার বলেন, ‘ডেফিনিটলি নট (সম্পর্ক শেষ নয়)। আমাদের যে ম্যানেজমেন্ট আছে, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিম সেট আপ… আর সাকিব তো প্রথম টুর্নামেন্ট খেলল শোধরানোর পর। সেটা সামনে দেখার ব্যাপার। তবে সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। যে কোনো দলের জন্য সে একটা সম্পদ। আমাদের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় সবসময় থাকে। সাকিব শুধরে যে এলো, এরপর মাত্রই তো দুটি (তিনটি) ম্যাচ খেলল। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দিন, তখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’
সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবে একেবারেই ভালো করতে পারছে না বাংলাদেশ। কদিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো সহযোগী দেশের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা। সবশেষ দুই-এক বছরে ধারাবাহিকভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে না পারায় আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশে নেমে গেছে বাংলাদেশ। ইফতেখার মনে করেন, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে এখনও পর্যাপ্ত প্রতিভা আছে।
ইফতেখার বলেন, ‘অ্যালার্মিং তো পরের কথা…। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স একটা বড় ইস্যু জনপ্রিয়তার জন্য। আপনাদের বুঝতে হবে যে, এই মুহূর্তে আমাদের দলটা নতু্ন। চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার (সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ) চলে যাওয়ার পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, প্রতিভা আছে। আগেও বলেছি, অ্যাপ্লিকেশনের অভাব। যত ম্যাচ খেলবে, তারা উন্নতি করবে। আমার মনে হয় আমরা যে পর্যায়ে আছি, আমাদের কেবল উন্নতিই হবে।’