সকাল থেকেই ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। ফলে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচ মাঠেই গড়াবে না। তবে বেলা ১২টায় সব শঙ্কা উড়িয়ে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। আর ঠিক দুপুর একটা নাগাদ শুরু হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বিপিএল আয়োজন করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। এই তিন শহরের বাইরে বিপিএল আয়োজনের দাবি অনেকদিনের। আগামী বিপিএলেই নতুন ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হতে পারে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম।
সিলেট আন্তর্জতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার মাঠে জাওয়াদ আবরারের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে সাত উইকেটে জিতেছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকা টুর্নামেন্টে টিকে থাকলেও এই ম্যাচ হারায় বাদ পড়ল রাজশাহী।
১১ বল ২২ রান! ম্যাচ জিততে হলে এমন সমীকরণ মেলাতে হতো মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়কে। তবে সেই সমীকরণ মিলিয়ে রাজশাহী বিভাগকে জেতাতে পারেননি তারা দুজন। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আহমেদ শরীফের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন মুশফিক। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ৪৬ রান করা এই ব্যাটারকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর।
রাজশাহী বিভাগের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্যটা একেবারে সহজ ছিল না। তবে রাজশাহীর কাজটা সহজ করে দিয়েছেন হাবিবুর রহমান সোহান ও সাব্বির হোসেন। বিশেষ করে সোহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত পায় রাজশাহী। ম্যাচ জিততে বাকি কাজটা সেরেছেন প্রীতম কুমার ও এসএম মেহেরব হাসানরা। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষের আগে ডিএলএস মেথডে ১১ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী। ফলে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই হার দেখতে হলো খুলনা বিভাগকে।