বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ

'জাতীয় দলের প্লেয়ার হিসেবে এডজাস্ট করেই খেলতে হবে'

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:33 বৃহস্পতিবার, 04 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে ব্যবধান কমে সেটা দাঁড়িয়েছে ১৯২ রানের হারে। চার ইনিংসের মধ্যে তিনটিতেই দুশোর নিচে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ দল।

অনেকেই মনে করেন প্রস্তুতির ঘাটতির কারণেই সাদা পোশাকে মলিন পারফরম্যান্স হয়েছে টাইগারদের। কারণ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার কদিন পরেই টেস্টে নেমে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস মনে করেন ঠাঁসা সূচির মাঝে প্রস্তুতির সুযোগ পাওয়া কঠিন। জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'প্রস্তুতি বলতে কী বুঝাচ্ছেন। প্রস্তুতির জন্য জাতীয় লিগ ছাড়া সুযোগ নাই কারণ সিরিজের পর সিরিজ হতে থাকে। আপনি দেখেন কোন প্লেয়ার সময় পায় বেশি টেস্ট খেলার? এই সুযোগটা নাই। সিরিজ হলে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি থাকে। জাতীয় দলের প্লেয়ার হিসেবে এডজাস্ট করেই খেলতে হবে।'

সীমিত ওভারের প্রচুর সিরিজ থাকায় খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ থাকে না বাংলাদেশের। তবুও এ বছর প্রচুর টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এ বছর ১২টি টেস্ট খেলার কথা ছিল টাইগারদের। অবশ্য এরই মধ্যে ৪টি টেস্ট হচ্ছে না।

এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের সঙ্গে দুটি টেস্টও খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কদিন আগেই দুটি টেস্ট স্থগিত করেছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও স্থগিত। ফলে তাদের বিপক্ষে দুটি টেস্টও হচ্ছে না। ফলে ৮টি টেস্ট খেলেই এ বছর শেষ করবে বাংলাদেশ দল।

জালাল ইউনুস মনে করেন বেশি বেশি টেস্ট খেলতে পারলে ভালোই হত। তবে সেই সুযোগ কখনই হয় না বাংলাদেশের। সামনেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজ শেষে বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে সিরিজ আছে টাইগারদের। তাই স্বল্প প্রস্তুতির সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হবে বলে জানালেন তিনি।

জালাল ইউনুস বলেন, 'প্রচুর খেলতে পারলে তো ভালোই হতো। বেশি করে টেস্ট খেলতে পারলে তো ভালোই হত। কিন্তু সেই সুযোগটা হয় না। এবারও আমাদের 'এ' দলের প্রোগ্রাম আছে। এখান থেকে পাকিস্তান যাবে, পাকিস্তান আসবে। নিউজিল্যান্ড আসবে। ভালো হত যদি ইন্ডিয়া সিরিজের আগে খেলতে পারত। সুযোগ তো পাওয়া যায় না। সুযোগ পেলে আরও ভালো হত। এখন সুযোগ বের করা বেশ কঠিন।'