ডিপিএল

তামিম-ইমনের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রাইমের সহজ জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:52 বুধবার, 20 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ ছিলেন তামিম ইকবাল। অথচ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম তিন রাউন্ডে ব্যাট হাতে রানের দেখাই পাচ্ছিলেন না প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক। অবশেষে মৌসুমের প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ৩৪ ওভারের ম্যাচে ১৩২ রানেই গুঁটিয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে প্রাইম।

ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রাইমকে দারুণ সূচনা এনে দেন তামিম ও ইমন। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৮ রান। এ সময় দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। সালমান হোসেনের বলে ডিপ মিড উইকেটে একরান নিলে ৬২ বলে মৌসুমের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন তামিম। কিন্তু এরপর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। আব্দুল্লাহ আল মামুনের বলে বোল্ড হয়ে ৬৭ রানে ফিরতে হয় তাকে।

দুটি ছক্কা ও চারটি চারে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন তামিম। এরপর আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ইমন ৭৪ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে আরিফুল জনি তাকে আর ইনিংসে বড় করতে দেননি। ৫০ রানেই ফিরতে হয় ইমনকে। এই ওপেনার ফেরার সময় প্রাইমের প্রয়োজন ছিলো মাত্র ১৩ রান। শেষদিকে বিশাল চৌধুরী ও নাইম ইসলামের ব্যাটে সেই লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যায় প্রাইম। ফলে টানা চতুর্থ জয়ের দেখা পায় দলটি।

এর আগে সাভারে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শুরুটা ছিলো অলক কাপালি ও আশিকুর জামানদের। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা রূপগঞ্জ টাইগার্সের ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান আশিকুর। ৭ বলে একরান করে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর নিজের এক স্পেলেই জোড়া আঘাত হানেন কাপালি।

চলতি মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নেমেই নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আরাফাত সানি জুনিয়রকে ফেরান তিনি। আগের তিন ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে খেলা আরাফাতকে এদিনে তিনে পাঠায় দলটি। কিন্তু কাপালির বলে তামিমের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাত্র ২১ রানেই ফেরেন তিনি। এরপর এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মাহফিজুল ইসলামকেও ফেরান এই স্পিনার।

দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার আগের দুই ম্যাচ পেয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। কিন্তু এই ম্যাচে তাকে ১৬ রানের বেশি করতে দেননি কাপালি। এই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন শামসুর রহমান শুভ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মিডল অর্ডারে আসাদুল্লাহ গালিব। তাদের ৫৩ রানের জুটিতে শতরান পার করে রূপগঞ্জ টাইগার্স।

বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝে দ্রুত রান তুলতে থাকা শুভ ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু আশিকুরের বলে ফাইন লেগে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। এই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে গুঁটিয়ে যায় দলটি। প্রাইমের হয়ে অপু নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট ও কাপালি, আশিকুর নিয়েছেন দুটি। শেখ মেহেদি ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।