ডিপিএল

ইমরুল-আরিফুলের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের দ্বিতীয় জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:52 শুক্রবার, 15 মার্চ, 2024

 

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

প্রথম ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব জিতলেও রানের দেখা পাননি ইমরুল কায়েস। তবে পরের রাউন্ডেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক। ইমরুলের পাশাপাশি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন আরিফুল ইসলাম। তাদের দুজনের জোড়া সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ২৬৬ রানের পুঁজি পায় মোহামেডান। ঢাকার ঐহিত্যবাহী ক্লাবের জয়ের বাকি কাজটা সারেন আবু হায়দার রনি। বাঁহাতি এই পেসার একাই নিয়েছেন চার উইকেট। রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৮৪ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল মোহামেডান।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি মোহামেডানের। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রনি তালুকদারকে হারায় দলটি। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা রনি রূপগঞ্জের সঙ্গে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তিনে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন মাহিদুল ইসলাম। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ছন্দে থাকা এই উইকেটকিপার ব্যাটার ফিরেছেন ৩৮ বলে মাত্র ৫ রানের ইনিংস খেলে।

আগের ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করলেও এদিন দ্রুতই ফিরেছেন রুবেল মিয়া। ৫২ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে মোহামেডান। লম্বা সময় ধরে শিরোপা জিততে না পারা দলটির চাপ কেটেছে আরিফুল ও ইমরুলের জুটিতে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ৭৪ বলে এবারের আসরে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন আরিফুল।

হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি নিজেও। তাদের জমে ওঠা জুটিতে বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখতে থাকে মোহামেডান। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে গিয়ে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেন ইমরুল। যদিও সেঞ্চুরির পর দ্রুতই ফিরেছেন তিনি। সালমান হোসেনের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক। ইমরুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৭ বলে ১০৬ রানের ইনিংস।

সেঞ্চুরি পেরনো ইনিংস খেলতে দুটি ছক্কা ও ১০টি চার মেরেছেন। ইমরুলকে সঙ্গ দেয়া আরিফুল সেঞ্চুরি করেছেন ১০৬ বলে। তার খেলা অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে রূপগঞ্জকে ২৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় মোহামেডান। রূপগঞ্জের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মামুন। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন সালমান, মোহাম্মদ মানিক এবং সোহাগ গাজী।

রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মামুনের উইকেট তুলে নেন আবু হায়দার। মাহফিজুল ইসলাম রবিন একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ফরহাদ হোসেন, শামসুর রহমান শুভ, আসাদুল্লাহ আল গালিবরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ফলে দলের রান একশ হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারায় রূপগঞ্জ।

মাহফিজুলের খেলা ৭৮ রানের ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে তারা। শেষের দিকে আর কেউ দাঁড়াতে না পারলে ৯ উইকেটে ১৮২ রান তোলে রূপগঞ্জ। মোহামেডানের হয়ে আবু হায়দার নিয়েছেন চার উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান তিনটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন নাসুম আহমেদ, আরিফুলরা।