অ্যাশেজ শেষে অস্ট্রেলিয়ার ১০, ইংল্যান্ডের ১৯ পয়েন্ট কাটা গেল
.webp)
ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্লো ওভার রেটের কারণে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি দলের পয়েন্টও কাটা হয়ে থাকে। এবারের পুরো অ্যাশেজে ২৮ পয়েন্টের মাঝে ১৯ পয়েন্টই জরিমানায় খোয়াতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। যেখানে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার জরিমানা গুনতে হয়েছে ১০ পয়েন্ট। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
নিয়ম অনুযায়ী টেস্টের প্রতিদিন একটি দলকে ৯০ ওভার বোলিং করতে হয়। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে পেসারদের খেলিয়ে সেটা অবশ্য কঠিন। স্লো ওভার রেটের নিয়ম অনুসারে প্রতি ওভারের জন্য দলগুলোর একটি করে পয়েন্ট কাটা হয়।

যেখানে এবারের অ্যাশেজে একমাত্র তৃতীয় টেস্ট ছাড়া সবকটি টেস্টেই পয়েন্ট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২ ওভার কম থাকায় ২ পয়েন্ট জরিমানা গুনতে হয় বেন স্টোকসের দলকে। দ্বিতীয় টেস্টে সেটার সংখ্যা ছিল আরও বেশি।
মঈন আলী চোটে পড়ায় লর্ডসে পেসারদের নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল ইংলিশরা। যেকারণে নির্ধারিত সময়ের মাঝে ৯ ওভার কম ছিল স্বাগতিকদের। ফলস্বরূপ ৯ পয়েন্ট জরিমানা দিতে হয়েছে তাদের। চতুর্থ টেস্টে ৩ আর পঞ্চম শেষ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট জরিমানা দিয়েছে ইংল্যান্ড।
দুই জয় আর এক ড্র’তে এবারের অ্যাশেজে ২৮ পয়েন্ট অর্জন করে স্টোকসের দল। তবে ১৯ পয়েন্ট জরিমানা গোনার কারণে সিরিজ শেষে তাদের অর্জন মোটে ৯ পয়েন্ট। এদিকে জরিমানা গুনতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকেও। যদিও তারা মাত্র একটি ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানা দিয়েছে।
টড মার্ফি স্কোয়াডে থাকার পরও প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউডের মতো পেসারদের নিয়ে একাদশে সাজায় অস্ট্রেলিয়া। যেখানে তাদের সঙ্গী ছিলেন দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন। ফলে ১০ ওভার কম বোলিং করে তারা। তাতে ১০ পয়েন্ট জরিমানা গুনতে হয় অজিদের।
সবমিলিয়ে এবারের অস্ট্রেলিয়ার অর্জন ছিল ইংল্যান্ডের সমান ২৮ পয়েন্ট। জরিমানার কারণে শেষ পর্যন্ত টিকেছে ১৮ পয়েন্ট। এদিকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে পয়েন্ট জরিমানা গোনার কারণে ফাইনাল খেলতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।