ইংল্যান্ড ক্রিকেট

ওপেনিংয়ে ক্রলিতেই আস্থা কির

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:24 মঙ্গলবার, 30 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

পরিণত মস্তিষ্কের জন্য জ্যাক ক্রলিকে ‘চেয়ারম্যান’ বলে ডাকেন ইংল্যান্ড দলের ক্রিকেটাররা। তবে মাঠের ক্রিকেটে এখনও ধুঁকছেন ক্রলি। মাঝে বেশ কয়েকটি ভালো ইনিংস খেললেও কখনই ধারাবাহিক হতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। তবুও ক্রলির উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন না রব কি।

ক্রলিকে যখন জাতীয় দলে ডাকা হয় তখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে আহামরী কিছু করে ফেলেছিলেন ব্যাপারটা এমন নয়। জাতীয় দলের হয়ে তিনি যখন ৮টি টেস্ট খেলে ফেলেছিলেন তখন প্রথম শ্রেণিতে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল মোটে তিনটি।

ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম সাত টেস্টে চারটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও শতকের দেখা পাচ্ছিলেন না ক্রলি। যে কারণে তার বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠত প্রায়শই। সেই সঙ্গে ধারাবাহিকতাও দেখাতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে নিজের অষ্টম ম্যাচে এসে সাউদাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৬৭ রানের ইনিংস খেলেন ক্রলি।

এরপর আবারও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ২০২২ সালের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজর বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়ার আগের ১৬ ইনিংসে পঞ্চাশের দেখা পাননি ডানহাতি এই ওপেনার। সেই সেঞ্চুরির পর হাফ সেঞ্চুরিবিহীন কেটেছে আরও ১৬ ইনিংস।

ইংলিশদের হয়ে ৩৩ টেস্ট খেলা ক্রলির গড় মাত্র ২৭.৬০। ইংল্যান্ডের ওপেনারদের মাঝে এমন গড় আছে হাতে কয়েকজন ক্রিকেটারের, সেটাও বহু বছর আগে। তবে ক্রলিকে নিয়ে হতাশ হচ্ছেন না ইসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট রব কি। ধারাবাহিকতা না থাকলেও ক্রলি ম্যাচ জয়ে অবদান রাখছেন বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে কি বলেন, ‘ওপেনিং একটা বিশেষ পজিশন এবং তারা যেভাবে জুটি গড়ে ম্যাচে ইম্প্যাক্ট রাখছে তাতে আমরা খুশি। জ্যাক যদিও খু বেশি রান করতে পারছে না তবুও সে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখছে। ক্রলি ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে পারে এবং শট বলে সে দুর্দান্ত। এটা বোলারদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।’

ক্রলি এবং বেন ডাকেটের ম্যাচজয়ী অবদানের উদাহরণ দিতে গিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের কথা বলেছেন। যেখানে কিউইদের বিপক্ষে ২৬৭ রানে জয় পায় তারা। যে ম্যাচে ৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন ক্রলি ও ডাকেট। সেই জুটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং দিয়ে উদাহরণে দিয়েছেন।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ছিল কিউইরা। তাদের ইম্প্যাক্টের কথা বলতে গিয়ে কি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্ত ছিল। আমরা মাউন্ট মঙ্গানুইতে ২৬৭ রানে জিতি। আমরা যখন এটা করি তখন বিনা উইকেটে ৫০ ছিল আর ৬০ এর বেশি রানে ২টা।’

‘নিউজিল্যান্ড যখন করে তখন তাদের চার-পাঁচটা উইকেট হারিয়েছিল। ওইটা আসলে ম্যাচ নির্ধারণ করা জুটি ছিল। পরিসংখ্যান হয়ত খুব বেশি সমৃদ্ধ হতে না এটা দিয়ে তবে সেটা আমাদের ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রেখেছে।’