‘ম্যাচজয়ী উইকেট’ নিয়ে হেরাথ আর মিরাজকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন শান্ত

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আয়ারল্যান্ডের জয় তখন সময়ের ব্যাপার। ৯ ওভারে মাত্র ৫২ রান দরকার তাদের, হাতে সাত উইকেট। উইকেটে হ্যারি টেক্টর এবং লরকান টাকাররা ততক্ষণে থিতু হয়ে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয় অনেকটা অসম্ভবই ছিল বাংলাদেশের জন্য। ঠিক তখনই টেক্টরকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় বদলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদের শেষের দাপটে লড়াই চালিয়েও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি আইরিশদের। ম্যাচ শেষে শান্ত কৃতিত্ব দিলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথকে। একইসঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজকেও কৃতিত্ব দিলেন এই স্টাইলিশ ব্যাটার।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শান্ত শুধু ব্রেক থ্রু'ই এনে দেননি, তিন ওভার কিপটে বোলিংয়ে আটকে রাখেন আইরিশ ব্যাটারদের। এ দিন ৫ বোলারের বাইরে বিকল্প বোলার বলতে ছিলেন কেবল তিনিই। আর তিনি তিন ওভার করে ফেলায় দশ ওভার করতে হয়নি অভিষেকে মার খাওয়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে।

৪২ তম ওভারে শান্তর করা নিরীহ এক লেংথ বল উড়িয়ে মেরে ক্যাচ তুলে দেন ৪৫ রান করা টেক্টর। মিড উইকেটে অসাধারণ সেই ক্যাচটি নেন লিটন কুমার দাস। এরপর মুস্তাফিজের দাপটে রান তাড়ার পরিকল্পনাই ঠিকমতো গোছাতে পারেনি আইরিশরা।
ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, 'আমি স্রেফ নিজের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। গত কয়েক দিনে রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে অনেক অনুশীলন করেছি। আমার স্পিন বোলিং কোচকে তাই ধন্যবাদ। আমি খুবই খুশি।'
বেশ কয়েক বছর আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিয়মিতই বোলিং করতেন শান্ত। সেই সময় থেকেই তার সঙ্গী ছিলেন মিরাজ। শান্তর বোলিংয়ের অ্যাকশনও অনেকটা মিরাজের মতোই। চেমসফোর্ডে সিরিজ জয়ের পর শান্ত জানালেন, সবসময় মিরাজকে অনুসরণের চেষ্টা করেন তিনি।
শান্ত আরও বলেন, 'বোলিংয়ে যাওয়ার আগেই অধিনায়ক আমাকে বলে রেখেছিলেন যে, আমার বোলিং করা লাগতে পারে। এটা ছিল প্রাথমিক পরিকল্পনা। তবে মিরাজ আমাকে অনেক সহায়তা করেছে বোলিংয়ের সময়।'
'উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা ছিল। আমি সেই পরামর্শ অনুসরণ করেছি। সত্যি বলতে, আমি তার অ্যাকশন অনুসরণ করি। চেষ্টা করে যাচ্ছি। বলছি না যে, পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারি। তবে চেষ্টা করছি।'