ডিপিএল

তানবীরের ঘূর্ণি ও চিরাগের হাফ সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জের জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:53 বৃহস্পতিবার, 04 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-এ-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২৬৬ রানের রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।

২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে রূপগঞ্জ। দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও পারভেজ হোসেন ইমনের কল্যাণে কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় রান ৫০ এ পৌঁছে যায় রুপগঞ্জ। তবে দলীয় ৭০ রানে মাহমুদুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুনিম।

২৪ রানে মুনিম ফিরে যাওয়ার খানিক পর পারভেজও উইকেট ছুঁড়ে দেন। তবে এর আগে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ। টিপু সুলতানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত ৫৭ রানে হাবিবুর রহমানের তালুবন্দি হন ইমন। এরপর ইরফান শুক্কুর ও সাব্বির রহমান মিলে দলকে ১০০'র ঘরে নিয়ে যান।

হাতখুলে খেলতে গিয়ে অবশ্য রুপগঞ্জের বিপদ ডেকে আনেন সাব্বির। মাহমুদুলকে সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে মহিউদ্দিন তারেকের তালুবন্দি হন সাব্বির। ১৪ রানে তিনি ফিরে গেলে ইরফানও ফেরেন দলীয় রান ১৫০ হওয়ার আগে।

৪ ব্যাটার ফিরলেও মুক্তার আলীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন চিরাগ জানি। দেখেশুনে দলকে ২০০'র ঘরে নিয়ে যান দুজন। কিন্তু ২১০ রানে ব্যক্তিগত ২০ রানে জয়নুল ইসলামের বাউন্স বলে পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে তালুবন্দি হন মুক্তার। যদিও চিরাগ এর ফাকে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। 

মাইলফলকে পৌঁছে অবশ্য থেমে যাননি চিরাগ। তানবীর হায়দারকে নিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮১ রানে টিপু সুলতানের বলে উইকেট ছুঁড়ে দেন চিরাগ। ৭৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ভারতীয়।

৬ উইকেট হারিয়ে বসলেও তানবীর ও সোহাগ গাজী মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৪ উইকেটের জয়ে মাঠ ছাড়ে রূপগঞ্জ। ২টি করে উইকেট নেন টিপু ও মাহমুদুল। একটি করে উইকেট নেন জয়নুল ও এনামুল। তানবীর ১৯ ও গাজী অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে।

এ দিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি গাজী গ্রুপের। স্কোরবোর্ডে ১৮ রান তুলতেই দুই ওপেনার হাবিবুর ও অমিত মজুমদারকে হারিয়ে বসে দলটি। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন এসএম মেহরাব হোসেন ও ফরহাদ হোসেন।

দুজনের ব্যাটে বিপদমুক্ত হওয়ার সঙ্গে দলীয় রান ১০০ পার করে গাজী। তারা দুজন মিলে দলের পক্ষে লড়াই চালিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৫০ রানও। কিন্তু তানবীর হায়দারের ঘুর্নি কাল হয়ে দাঁড়ায় দুজনের জন্যই। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে এই লেগ স্পিনারের শিকার হয়ে ফেরেন দুজনই।

গাজীর অধিনায়ক আকবর আলীকেও দ্রুত ফিরিয়ে দেন তানবীর। একই স্পেলে মাহমুদুলকে বিদায় করে গাজীকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই লেগ স্পিনার। ১৮৭ রানে ৬ উইকেট হারালেও ৪০ রানের জুটি গড়েন শাকিল হোসেন ও এনামুল হক।

নীচের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এনামুল দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ২৫০ রান। তবে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি, ৩১ বলে ৪৯ রানে ছিলেন অপরাজিত। ৫০ ওভারে গাজী ৯ উইকেটে পুঁজি পায় ২৬৫ রানের। ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তানবীর।