ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩

সুপার লিগেও মোহামেডানকে পাত্তা দিল না আবাহনী

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:09 সোমবার, 01 মে, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সুপার লিগের প্রথম পর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। ফলে এবারের আসরে শিরোপা ঘরে তোলার দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল মোসাদ্দেক হোসেনের দল। এবারের আসরে দুই দলের আগেরবারের দেখাতেও জয় পেয়েছিল আবাহনী।

এদিন ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডান শুরুতেই বিপদে পড়ে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে। স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করতেই ফেরেন দুজন। নাহিদুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের ওভার শিকার করেন উইকেট দুটি।

শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খাওয়া মোহামেডানকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি বিদেশি রিক্রুট কামিন্দু মেন্ডিসও। তানজিদ সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে এক রানে ফেরেন এই লঙ্কান। ১২ রানে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বসা দলটির হয়ে পরবর্তীতে হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও আরিফুল ইসলাম।

তাদের জুটিতে দলীয় রান ৫০ পার হলেও ৮৫ রানে সাকিবের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আরিফুল। তবে উইকেট হারালেও অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে নেমে অঙ্কনকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। তাদের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার হওয়ার সঙ্গে ১৫০'র ঘরেও নিয়ে যান দুজন।

অঙ্কন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তাকে সঙ্গ দেয়া মাহমুদউল্লাহও পৌঁছে যান ৫০'র ঘরে। তবে দলীয় ১৭২ রানে এসে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে মাহমুদুল হাসানের তালুবন্দি হন অঙ্কন। ১১৩ বলে ৮৮ রানে ফেরেন এই ব্যাটার।

সঙ্গী হারালেও মাহমুদউল্লাহ দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে দলীয় রান ২০০'র ঘরে পৌঁছানোর আগে ৫৪ রানে আউট হন এই ক্রিকেটার। মোসাদ্দেকের বলে বোল্ড হন তিনি। মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে খেই হারিয়ে বসে মোহামেডান। দলীয় ২২১ রানে জোড়া আঘাত হেনে আবাহনীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন মোসাদ্দেক।

যদিও নিচের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে খানিকক্ষণ লড়াই করেন শুভাগত হোম। শেষ ওভারে ২০ রানের প্রয়োজন হলে বোলিংয়ে আসেন মোসাদ্দেক। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে ২ নেন মুশফিক। যদিও শেষের ৪ বলে মুশফিককে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন এই অলরাউন্ডার।

শেষ ৩ ওভারে ১২ রান প্রয়োজন হলে ক্রিজে নেমে নাজমুল হোসেন অপু সিঙ্গেল নিয়ে হোমকে স্ট্রাইক দেন। হোম অবশ্য পঞ্চম বলে একের বেশি নিতে পারেননি। শেষ বলে অপু এক রান নিয়ে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন। ৯ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে আবাহনী, মোসাদ্দেক ৫১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। সঙ্গে হন ম্যাচ সেরাও। 

এদিকে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নাইম শেখ ফিরে যান মাত্র ২ রানে। খানিক পর নাইমের পথেই হাঁটেন এনামুল হক বিজয়ও। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয় (২৩ বলে ১৯)। ১১ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও জাকের আলি অনিক। 

অনিক ৮২ বলে ৬ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় করেন ৬৩ রান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হাত খুলে খেলে আবাহনীকে এগিয়ে দেন। সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে মোসাদ্দেক খেলেন ৬৩ রানের সাবলীল ইনিংস। আফিফ ৪০ বলে ৩৬ রানে আউট হন। ৫০ ওভারে  ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের পুঁজি পায় আবাহনী।

মোহামেডান বোলারদের মধ্যে মুশফিক হাসান ১০ ওভারে ৩২ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। অফস্পিনার শুভাগত হোমের ঝুঁলিতে জমা পড়ে ২ উইকেট (৪৭ রানে)। তবে ইংলিশ চায়নাম্যান জ্যাক লিনটটের পরিবর্তে আসা লঙ্কান কামিন্দু মেন্ডিস কিছুই করতে পারেননি। ৭ ওভারে ৪৮ রানে উইকেটশূন্য এ লঙ্কান স্পিনার।