নতুন অভিজ্ঞতার সামনে আয়ারল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এমনিতে লাল বলের বোলিং হামফ্রিসের কাছে নতুন মনে হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। এর আগে যে কখনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচই খেলেননি এই বাঁহাতি স্পিনার! শুধু হামফ্রিস নন, আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের জন্য আয়ারল্যান্ডের ১৫ সদস্যের দলে আরও ২ জন আছেন প্রথম শ্রেণির অভিষেকেরই অপেক্ষায়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে নামার আগে রোমাঞ্চ বইছে আয়ারল্যান্ড শিবিরে। আইরিশদের টেস্ট দলের ১৫ সদস্যের দলে এমন তিনজন ক্রিকেটার আছেন যারা এখনও প্রথম শ্রেনির কোনো ম্যাচেই খেলেননি। এর আগে এমনটা হয়েছে কিনা সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি।
পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায় এর আগে ১৭ জন ক্রিকেটার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার আগেই টেস্ট অভিষেক করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান ও বাংলাদেশের পেসার নাজমুল ইসলামের নাম। ফলে এই ঘটনা তেমন অবাক হওয়ার মতো কিছু না।

এ প্রসঙ্গে বালবির্নি বলেন, ‘অনন্য এক ঘটনাই। আমাদের এমন খেলোয়াড় আছে, যাদের প্রথম শ্রেণির অভিষেক হতে পারে কাল। এর আগে এ রকম হয়েছে, এমন কারও কথা মনে করতে পারি না আমি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অন্তত ৫ জন আইরিশ ক্রিকেটারের অভিষেক হবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আনকোরা এক দল নিয়ে মাঠে নামছে আয়ারল্যান্ড। নতুন টেস্ট খেলতে নামা দল ছাড়া টেস্টে এতোজনের কবে এক সঙ্গে অভিষেক হয়েছে সেটা খুঁজতেও পরিসংখ্যান ঘাটতে হবে।
ব্যতিক্রম এই অভিজ্ঞতা নিয়ে বালবির্নি বলেছেন, ‘সম্প্রতি সময়ে তো এতজনের একসঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়নি, নতুন টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্ষেত্রেই হয়। এ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে এমন হয়ে থাকবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে যে চ্যালেঞ্জিং একটি টেস্ট হবে সেটা আগে থেকেই বুঝতে পারছেন বালবির্নি। তাদের লক্ষ্য এই টেস্টে যত বেশি সময় ধরে ব্যাটিং করা যায় সেটাই করা। বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্মের শুরু। ফলে গরমের সঙ্গে তাদের লড়াই করতে হবে বলে মনে করেন বালবির্নি।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, টিকে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকেরই প্রথম শ্রেণিতে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। পাঁচ দিনের টেস্ট একেবারেই আলাদা। আমাদের অনেকেই সাদা বলের ক্রিকেট খেলেই বেড়ে উঠেছে। যতক্ষণ পারা যায় ব্যাটিং করতে ব্যাটারকে থিতু হতে হবে, বোলারদের অনেক ডিসিপ্লিনড হতে হবে। এটিই বড় চ্যালেঞ্জ। গরম বলে কন্ডিশনেরও ভূমিকা থাকবে তাতে। ছেলেদের আসলে কাজ করতে করতেই শিখতে হবে।’