বাংলাদেশ- ইংল্যান্ড সিরিজ

অলরাউন্ডারদের প্রস্তুত করতেই কম ব্যাটার খেলিয়েছে ইংল্যান্ড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:05 সোমবার, 13 মার্চ, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে স্বীকৃত ব্যাটার আছেন চার জন। ফিল সল্ট, জস বাটলার, দাভিদ মালান আর বেন ডাকেট ছাড়া আর কোনও স্বীকৃত ব্যাটার নেই দলটিতে। যদিও মঈন আলীর মতো অভিজ্ঞ এবং স্যাম কারানের মতো তরুণ অলরাউন্ডার আছে দলটিতে। আর এই অলরাউন্ডারদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতেই কম ব্যাটার খেলিয়েছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর এ কথা জানালেন সফরকারীদের অধিনায়ক জস বাটলার।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ১২ মার্চের ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৭ রান করে ইংল্যান্ড। অথচ প্রথম ছয় ওভারেই দলটি করেছিল ৫০ রান! অলরাউন্ডার মঈন আলী তিনে নামেন, আর স্যাম কারান নামেন ছয়ে। যদিও সাফল্য পাননি এদের কেউই।

এই সিরিজে শুরুতে ১৫ জনের দল ছিল ইংল্যান্ডের। তবে টম আবেল ও উইল জ্যাকস ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেলে বিকল্প হিসেবে কাউকেই নেয়নি ইংল্যান্ড। বর্তমানে দলটিতে আছেন ১৩ জন। এরমধ্যে পেসার রিস টপলি পুরোপুরি ফিটও নন।

আর কেউ চোটে পড়লে দ্বাদশ ব্যক্তির ঘাটতিতে পড়বে দলটি। আর এমন অবস্থায় এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও হারল তারা। গতকালের ম্যাচ শেষে তাই এই ব্যাপারে কথা বলেছেন বাটলার। আসন্ন ভারত বিশ্বকাপের জন্য দলের অলরাউন্ডারদের প্রস্তুত করার কথাই জানালেন তিনি।

বাটলার বলেন, 'হ্যাঁ, এটা ভিন্ন রকমের ভারসাম্য। দলের ভেতর ভিন্ন রকমের অনুভূতি দিয়েছে। আমার মনে হয় আমরা এমন কিছু খেলোয়াড়ারদের সামনে আসার সুযোগ দিতে চেয়েছি যারা কিনা এরকম কন্ডিশনে এই বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে। অলরাউন্ডাররা সাধারণত যে জায়গায় ব্যাট করে সেখান থেকে আরও উপরে তুলে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ দিতে চেয়েছি।'

'দেখুন, ক্রিকেটটা যেভাবে বদলাচ্ছে সবাই বিভিন্ন কারণে সবখানে থাকতে পারছে না। এইজন্য চিন্তা করলাম নতুন কাউকে না ডেকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে যারা খেলবে তাদের তুলে ধরি।'

এরই মাঝে বাটলারদের এমন তত্ত্বের জন্য সমালোচনা শুনতে হচ্ছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্টকে। দেশটির সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনও সমালোচনা করেছেন এমন সিদ্ধান্তের। সাবেক ইংলিশ অধিনায়কের মতে, নিয়মিত ক্রিকেটাররা ইনজুরি বা বিশ্রামে থাকায় কাউন্টি দলের কাউকেও দলে নেয়া যেতো।

নাসের বলেন, 'মানছি নির্বাচকদের একাধিক বিষয় মাথায় রেখে কঠিন কাজ ছিল। অ্যাশেজের মতো সিরিজ সামনে আসছে, এজন্য তারা টেস্ট খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে চেয়েছে।'

'সাদা বলের খেলোয়াড়দের টেস্টে রেখেছে। কয়েকজন চোটে আছে। কাউন্টি মৌসুমও আসছে ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের ১৮টি কাউন্টি। আমরা যদি বাংলাদেশে একজন ব্যাটার পাঠাতে না পারি… তারা কি পোপ (অলি পোপ) বা জ্যাককে পাঠানোর কথা (ক্রলি) চিন্তা করে এসব বলে? যদিও এই দুজন সাদা বলের ভালো ক্রিকেটার হতে পারবে। আমার মনে হয় না "একজন ব্যাটার ঘাটতি ছিল", কেবল এটা বলাটা যথেষ্ট নয়।'