আইপিএল

আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান বোথাম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:39 শুক্রবার, 03 ফেব্রুয়ারি, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কল্যাণে ক্রশমই বড় হয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাজার। জনপ্রিয়তার সঙ্গে বেড়েছে আয়ের পরিমাণও। বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) আয়ের অনেকটা অংশ আসে আইপিএল থেকে। তবে টাকার আইপিএল কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে সন্দিহান ইয়ান বোথাম।

ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণ বলা হয়েছে থাকে টেস্ট ক্রিকেট। সময়ের পরিক্রমায় সাদা পোশাকের ক্রিকেট হয়ে উঠে সম্মান আর মর্যাদার। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে লাল বলের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একেবারে তুঙ্গে। টেস্ট ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন দেশটির সমর্থকরা। তাদের তুলনায় টেস্ট নিয়ে আগ্রহ খানিকটা কম উপমহাদেশে।

ভারত কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে নিয়ে। ভারতের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএল। তাদের এমন উন্মদনা দেখে বোথাম মন্তব্য করেছেন, ভারতের মানুষের কাছে আইপিএলই সব। তারা টেস্ট ক্রিকেট দেখেন না।

মিরর স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, ‘ভারতে আইপিএল সবকিছু। ওখানকার লোক টেস্ট ক্রিকেট দেখে না। ভারত আইপিএলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। এটা শুনতে দারুণ লাগলেও কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে সেটা বলা যাবে না। টেস্ট ক্রিকেট ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে। এটা কোথাও পালিয়ে যাচ্ছে না। আর আমরা যদি টেস্ট ক্রিকেটকে হারাই তাহলে ক্রিকেট খেলাটাকেও হারিয়ে ফেলব।’

প্রতি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে দেখা মেলে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের টেস্টের লড়াই। ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে বলা হয়ে থাকে অ্যাশেজ। যা দেশ দুটির কাছে আত্মসম্মানের সিরিজ। অ্যাশেজে বরাবরই গ্যালারি ভর্তি সমর্থক থাকে। লর্ডস কিংবা মেলবোর্নে খেলা হলে টিকিট পাওয়াই দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়।

সাদা পোশাকের ক্রিকেট নিয়ে তাদের এমন উন্মাদনা নিয়ে বেশ খুশি বোথাম। সেই সঙ্গে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন তিনি। বোথাম বলেন, ‘আমরা অনেক ভাগ্যবান। অ্যাশেজে সম্পূর্ণ টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। অন্তত পক্ষে প্রথম চারদিনের টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।পৃথিবীর আর কোথাও এটা দেখতে পাওয়া যায় না। অস্ট্রেলিয়ায় যদি ইংল্যান্ড খেলে তাহলে বক্সিং ডে ম্যাচে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকে। টেস্ট ক্রিকেটের বেশিরভাগ মাঠে এক মৌসুমে তা পাবে না।’