বিপিএল

তাসকিনের আগুনে বোলিংয়ে হারের বৃত্ত ভাঙলো ঢাকা

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:24 মঙ্গলবার, 24 জানুয়ারি, 2023

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লো স্কোরিং ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ২৪ রানে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্স। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৮ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল রাজধানীর দলটি। এরপর তাসকিন আহমেদের জাদুকরি বোলিংয়ে দারুণ জয় পায় ঢাকা। তাসকিন মাত্র ৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন। এর ফলে টানা ৬ ম্যাচে হারের পর জয়ের মুখ দেখল ঢাকা।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় খুলনা। বিপিএলের এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শাই হোপ। ৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। 

এরপর মাহমুদুল হাসান জয় দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। এদিন চার নম্বরে খেলতে নেমে বড় রানের দেখা পাননি আজম খানও। তিনি সাজঘরে ফিরেছেন ১০ বলে ৪ রান। টপ অর্ডারের বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও এদিন সাবলীল ছিলেন তামিম ইকবাল। এই অভিজ্ঞ ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস।

তামিমের পর দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বি। অধিনায়ক এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। রাব্বি যখন ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তখন দলের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান।

এরপর আর ১৭ রান যোগ করতেই বাকি ৫ উইকেট হারায় খুলনা। ইয়াসির আর তামিম ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৮৪ রানে হয় খুলনা। যা বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ব্বনিম্ন রান। আর তাতে ১০৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েও ২৪ রানের জয় পেয়েছে ঢাকা। স্বাগতিকদের হয়ে ৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আরও একবার ব্যর্থ ঢাকার টপ অর্ডার। কিছুতেই যেন এই টপ অর্ডার সমস্যার সমাধান খুঁজে পাচ্ছে না স্বাগতিক টিম ম্যানেজমেন্ট। খুলনার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে সৌম্যের সঙ্গী ছিলেন মিজানুর রহমান। একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেননি এই ওপেনার। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ রান।

দলীয় ৬ রানে মিজানুরকে সাজঘরে ফিরিয়ে ঢাকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাহিদুল ইসলাম। একই ওভারে উসমান ঘানিকেও ফিরিয়েছেন এই স্পিনার। ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন এই আফগান ব্যাটার। নাহিদুলের স্পিন বিষে এদিন নীল হয়েছে ঢাকার টপ অর্ডার। 

টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটারের চারজনকেই সাজঘরে ফিরতে বাধ্য করেছেন নাহিদুল। মিজানুর, উসমান ছাড়াও নাহিদের ঘূর্ণিতে বোকা বনেছেন মোহাম্মদ মিথুন এবং অ্যালেক্স ব্লেক। ৪ ওভার বোলিং করে ২ মেইডেনসহ ৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যা এবারের আসরের এক ম্যাচে কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। 

ঢাকার ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সৌম্য। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা যখন ধুকছিল তখন নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন এই ওপেনার। লম্বা অফফর্ম কাটিয়ে খুলনার বিপক্ষে হেসেছে সৌম্যের ব্যাট। সাজঘরে ফেরার আগে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।

অবশ্য এদিন ব্যর্থ হয়েছেন ইনফর্ম নাসির। ১১ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন আসরের দ্বিতীয় সেরা রান সংগ্রাহ। অধিনায়কের মতোই খুলনার বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন আরিফুল হকও। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১২ এবং আল আমিন হোসেনের অপরাজিত ১০ রানের সুবাদে ১৯ ওভার ৪ বলে ১০৮ রান তোলে অলআউট হয়েছে ঢাকা।