বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ

ব্যাটাররা মন ভরাতে পারেননি সিডন্সের

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 12:13 শনিবার, 25 জুন, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম দিনটি ভালো যায়নি বাংলাদেশ দলের। আগে ব্যাট করে মাত্র ২৩৪ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। জবাবে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলেছে ক্যারিবীয়রা। দিন শেষে ব্যাটিংয় নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স।

যদিও প্রথম টেস্টের তুলনায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে টাইগার ব্যাটাররা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। সেই সঙ্গে গত কিছুদিনের বল ছেড়ে খেলার অনুশীলন বাংলাদেশের ব্যাটাররা অনেকাংশেই কাজে লাগাতে পারলেও ২৩৪ রান যথেষ্ট মনে হচ্ছে না সিডন্সের কাছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আজ আমরা কিছুটা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। এক সপ্তাহ ধরে বল ছেড়ে খেলা নিয়ে কাজ করছি, সেটাতে কিছুটা সফল হয়েছি। তারা (ক্যারিবীয়রা) সত্যিই দারুণ বোলিং করেছে। আমরা যতক্ষণ ব্যাট করতে চেয়েছিলাম, ততক্ষণ ব্যাট করতে পারিনি। এই উইকেটে ২৩০ রান যথেষ্ট নয়।’

টেস্টে লম্বা সময় ব্যাটিং করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা মনে করিয়ে দিয়ে সিডন্স বলেন, ‘লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে হবে আমাদের। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে হবে। দিনের শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে হবে, এরপর পরের দিনও ব্যাট করতে হবে। এই মুহূর্ত আমরা এই কাজটাই করতে পারছি না। ’

তামিম ইকবাল-লিটন দাসদের কাছে সিডন্সের প্রত্যাশা আরও বেশি। তাদের আরও বড় ইনিংস খেলার পরামর্শ দিয়েছেন সিডন্স। তিনি বলেন, ‘তামিম-লিটন ভালো খেলছিল। তবে ৫০-৪০ রানের ইনিংস দলকে পর্যাপ্ত স্কোর এনে দেবে না। তাই শুরুটা পেয়ে গেলে এমন মানের খেলোয়াড়দের আরো বড় ইনিংস খেলা দরকার।’

এই ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। বিনা উইকেটে তুলেছিল ৪১ রান। জয় ফিরেছেন মাত্র ১০ রান করে। এরপর দলীয় ৬৮ রানে তামিম ৪৬ রান করে ফিরে গেলে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। সিডন্স মনে করেন এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪০০ করা যেত।

তার ভাষ্য, ‘আমাদের উদ্বোধনী জুটিটা ভালো ছিল। ২ উইকেটে ১০০ রান ছিল, সেখান থেকে ৪০০ রান করা যেত। কিন্তু যা অর্জন করার দরকার ছিল, তা করতে পারিনি, থেমে গেছি ২৩০ রানে। ব্যাট হাতে তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) আক্রমণাত্বক ছিল। আমার মনে হয়, প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করিনি। তারা তামিমের মতো আক্রমণাত্বক ছিল। এটা থেকেই পিচ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। প্রথম টেস্টে যে সুইং আমাদেরকে ভুগিয়েছিল, সেই সুইং এখানে নেই।’