বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড

এবাদতের চাওয়া, বিদেশে বাংলাদেশের 'জয়যাত্রা' শুরু হোক নিউজিল্যান্ডেই

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 16:01 মঙ্গলবার, 04 জানুয়ারি, 2022

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচের একটিতেও জিতেনি বাংলাদেশ। যার মধ্যে রয়েছে ৯টি টেস্ট। কিন্তু দেশটিতে ১০ নম্বর টেস্ট খেলতে নেমে ইতিহাস বদলানোর দ্বারপ্রান্তে এখন মুমিনুল হকের দল। প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে চালকের আসনে এখন বাংলাদেশ। দিনের সেরা পারফরমার পেসার ইবাদত হোসেনের চাওয়া, শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিদেশের মাটিতে জয়ের ধারা শুরু করুক বাংলাদেশ। 

দেশ ও দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৫টি টেস্ট খেলেছে। যার মধ্যে পাঁচটিতে ইনিংস ব্যবধানে। কিন্তু এবার মাউন্ট মঙ্গানুইতে ভিন্ন এক গল্পের সাক্ষী হতে পারে বাংলাদেশ। যে জন্য অবশ্য পঞ্চম দিন অসম্ভব কিছু করতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। 

এখন পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ খেলেছে ৬০ টেস্ট। শ্রীলঙ্কার মাটিতে একটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েতে দুটি করে ম্যাচ জিতেছে, সর্বসাকুল্যে জয় পাঁচটিতে। সব মিলিয়ে ১২৬ টেস্ট খেলে জয় ১৫টিতে, ড্র ১৭টিতে আর হার ৯৪টিতে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ইবাদত বলেন, ‘এই দলটাই চাচ্ছে নতুন কিছু দিতে, নতুনভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো ভালো কিছু দিতেই হবে। এই দলের চেষ্টাই এটা যে, বিদেশের মাটিতে জেতা শুরু করবে।’

চতুর্থ দিন ইবাদতের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়েই চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৭ রান তুলতেই নিউজিল্যান্ড হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট। ইবাদত একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১৭ ওভারে ৪ মেডেন দিয়ে ৩৯ রান দেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা, এর আগে ৯১ রান দিয়ে নিয়েছিলে ৩ উইকেট। 

দেশের হয়ে ১০ টেস্ট খেলা এবাদত নিজের পারফম্যান্স প্রসঙ্গে ইবাদত জানিয়েছেন, এখনো শিখছেন তিনি। সিলেটের এই পেসার বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে প্রথম দিন, প্রথম দুই ঘণ্টা সহায়ক থাকে। তারপর কিছুটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমরা এখনো শিখছি যে কিভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়।'

'বল পুরোনো হলে কিভাবে রিভার্স করা যায়। দেশে ও দেশের বাইরে দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। দেশে আমাদের উইকেট একটু ব্যাটিং সহায়ক থাকে। ফ্ল্যাট থাকে। সেখানেও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে উইকেট বের করা যায়। আমরা এখনো শিখছি। আমরা চেষ্টা করব আগামীকাল যেন দেশকে জিতিয়ে আসতে পারি’, আরও যোগ করেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩২৮, জবাবে বাংলাদেশ তোলে ৪৫৮ রান। ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিত্য ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছে কিউইরা। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে লিড ১৭ রানের।

৬৩ রানে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে টেনে নেয় রস টেলর ও উইল ইয়ংয়ের ৭৩ রানের জুটি। দুজনে প্রায় দিন শেষ করার পথেই ছিলেন। কিন্তু এবাদত হোসেনের শেষ ঘন্টার এক স্পেলে বিপর্যস্ত কিউই ব্যাটিং লাইন আপ। টেলর-ইয়ংয়ের ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। ভেতরে ঢোকানো গুড লেংথের বলে বোল্ড করেন ১৭২ বলে ৭ চারে ৬৯ রান করা ইয়াংকে।

এক বলের ব্যবধানে এবাদত বোল্ড করেন হেনরি নিকোলসকেও (০)। নিজের পরের ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টম ব্লান্ডেলকে (০)। এবাদতের ৬ ওভারের এই স্পেলটি ছিলো এমন ৬-২-১৪-৩।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো ডেভন কনওয়েকেও ভয়ংকর হওয়ার আগে ফিরিয়েছিলেন এবাদত। সব মিলিয়ে ইনিংসে এখনো পর্যন্ত এবাদতের বোলিং ফিগার ১৭-৪-৩৯-৪। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও।উইকেট বের করা যায়। বিদেশের মাটিতে প্রথম দিন, প্রথম দুই ঘন্টা সাহায্য থাকে।'

'তারপর কিছুটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমরা এখনো শিখছি কিভাবে দুই জায়গায় বল করা যায়। বল পুরোনো হলে কিভাবে রিভার্স করা যায়। আমরা এখনো শিখছি। আমরা চেষ্টা করব আগামীকাল যেন দেশকে জিতিয়ে আসতে পারি।'