বাংলাদেশ ক্রিকেট

একসঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলা অসম্ভব: সাকিব

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:15 বৃহস্পতিবার, 23 ডিসেম্বর, 2021

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রেকর্ড ভাঙা আর গড়ার খেলাটা সাকিব আল হাসানের জন্য নতুন কিছু নয়। ১৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন সংস্করণ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। 

বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা তো বটেই বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদেরও একজন সাকিব। তবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন তিনি। যে কারণে এক সংস্করণ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন এই অলরাউন্ডার। একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাকিব জানিয়েছেন, একসঙ্গে তিন সংস্করণে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না।

এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি এবং কোনটাকে প্রাধান্য দিতে হবে সেটাও জানি। এখন এমন একটা সময় এসেছে যে আসলেই আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছি। এটাই ফ্যাক্ট। আমি আদৌ আর টেস্ট খেলব কিনা। টেস্ট খেললেও কিভাবে খেলব। এমনকি ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলো পয়েন্ট সিস্টেমে হয় সেগুলোতে আমার অংশগ্রহণ করা দরকার আছে কিনা। আমার আসলে আর কোনো বিকল্প নাই। বলছি না যে টেস্ট আমি অবসর নেবো।’

‘এমনও হতে পারে যদি ২০২২ বিশ্বকাপের পরে টি-টোয়েন্টি আর না খেলি তখন আবার ওয়ানডে আর টেস্ট খেললাম। কিন্তু একসঙ্গে তিনটা সংস্করণ খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ আপনি যখন ৪০-৪২ দিনে দুইটা টেস্ট খেলেন এটা কোনোভাবেই আসলে ফলপ্রসূ হওয়ার মতো বিষয় না। বাছাই করে ম্যাচ খেলতে আগ্রহী করে। এটা নিয়ে বিসিবির সঙ্গে পরিকল্পনা করা জরুরি এবং পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আগানোটা বুদ্ধিমানের মতো কাজ। যেটা হয়তো জানুয়ারির ভেতরে পরিকল্পনাগুলো করলে পুরো বছরটা জানতে পারব কি করতে হবে।’

করোনার কারণে কয়েক মাস খেলা বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে মাঠে ক্রিকেট ফেরানো হয়। লম্বা সময় ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলার কারণে ক্রিকেটাররা হাঁপিয়ে উঠছে। এর আগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন।

এবার জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলা নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, জৈব ‍সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলাটা জেলখানায় বন্দি থাকার মতো। এই অবস্থা থেকে বের হতে জৈব সুরক্ষা বলয় কিংবা কোয়ারেন্টাইন চূড়ান্ত সমাধান নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে সোজা মনে হয়েছে জেলখানায় যদি আপনাকে দিয়ে দেয় যেমন জীবন থাকবে ঠিক তেমনই। জেলখানায় থাকলে আপনি অন্তত কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এমন না যে খেলোয়াড়েরা অনেক ঘোরাঘুরি করে, বাইরে যায়, শপিং মলে যায়, সিনেমা হলে যায়, রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা কিন্তু না।’

‘আপনি যখন মানসিকভাবে জানবেনই যে চাইলেও আপনি বের হতে পারবেন না সমস্যাটা ওইখানে। আপনি দেখেন নিউজিল্যান্ড দল ওদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে বিশ্বকাপে পাঠাবে না। শুধু মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। যেটা মনে হচ্ছে যে করোনা খুব তাড়াতাড়ি যাওয়ার না। আমাদের এর মাঝে বেচে থাকতে হলে অন্য উপায় বের করতে হবে। কোয়ারেন্টাইন বা জৈব ‍সুরক্ষা বলয় চূড়ান্ত সমাধান না।’